করোনার লকডাউনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাজার খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। অবশ্য করোনা আতংকে অনেকেই বাজারমুখি হতে চান না। এ অবস্থায় বিক্রি বেড়ে গেছে ভ্রাম্যমান সবজি বিক্রি। হরেক রকম সবজির পসরা নিয়ে বিক্রেতারা রাস্তার মোড়ে অথবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করছেন টাটকা শাক সবজি। দামও রয়েছে নাগালের মধ্যেই।
আজ মঙ্গলবার রাতে নগরীর আলমনগর মোড়ে দেখা গেল ভ্যানে কয়েকজন বিক্রেতা তরি তরকারি বিক্রি করছেন। বেগুন ৩৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, ঝিংগা ৩০ টাকা, পটল ২৫ টাকা, কঁচুর মুখি ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। মাঝারী আকারের লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
কথা হলো চরেরহাট এলাকা থেকে আসা ক্রেতা সেখ ইউসুফ আলী ও সামাদ বিশ্বাসের সাথে। তারা জানালেন, বাজার গুলোতে খুব ভিড় থাকে। করোনার ঝুঁকি এড়াতে প্রায় রাতে এখান থেকে তরি তরকারি কিনে থাকেন। দামও বেশি না। টাটকা শাক সবজি পাওয়া যায়। তাদের সাথে কথা বলতে বলতে দেখা গেল আরো ৬/৭ জন ক্রেতা জড়ো হয়েছেন ভ্যানের সামনে। তারাও তরকারি কিনবেন।
করোনার লকডাউনে খুলনার খালিশপুর, লেবুতলা, দৌলতপুর, জোড়াগেট, ধর্মসভা, পিটিআই মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এভাবেই ভ্রাম্যমান পদ্ধতিতে তরি তরকারি, ফল ফলাদি ও মাছ বিক্রি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ক্রেতারাও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন