বিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আলী ওরফে সাহাব উদ্দিন ও তার ছেলে, ভাতিজার মারধরে আহত হওয়ার ২দিন পর এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মো.আবুল কালাম ওরফে বলি কালাম উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের গুল্যাখালী গ্রামের মৃত মো. নুর উল্যার ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ি থেকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের চৌমুহনী বাজারে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতের বড় ছেলে তানভীর হাসান বলেন, এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও ওসি আমাদের মামলা নেয়নি। ওসি জানায়, আমাদের মামলা নিতে উপর মহল থেকে বারণ আছে। উল্টো প্রভাবশালী কাউন্সিলের মামলা নেয় ওসি। হামলাকারীরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশারী হওয়ায় গত ২দিন তাদের হুমকি ধামকিতে বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে পারেননি। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এটি পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা বলেও তিনি দাবি করেন।
হাতিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলী ওরফে সাহাব উদ্দিন জানান, গত ২৪ জুলাই বেলা ১১টার দিকে চৌমুহনী বাজারে বলি কালাম ও তার ছেলের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই দিন বিকেলে বলি কালাম ও তার ছেলেসহ ৯ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় আমি মামলা দায়ের করি। হামলা করতে এসে বলি কালামের ছেলে তার হাতে থাকা লোহার রডে মাথায় আঘাত পায়। তিনি আরও দাবি করেন, বলি কালাম আগ থেকেই অসুস্থ ছিলেন।
হাতিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের ডাক্তারের বরাত দিয়ে জানান ব্যবসায়ী বলি কালাম ব্রেইন স্ট্রোক করে গেছে। তবে অভিযোগ উঠায় গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় এনে রাখা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। ওসি আবুল খায়ের আরও বলেন, কাউন্সিলরের ওপর হামলার ঘটনায় বলি কালাম ও তার ছেলেসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে বলি কালামের মামলা না নেয়ার অভিযোগ তিনি নাকচ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন