ঢিলেঢালা লকডাউনে হাইওয়ে ঢাকা-চিটাগাং রোডের সাইনবোর্ড মোড়ে সাদা পোশাকে ওয়ারলেস সেট হাতে নিয়ে যানবাহন থামিয়ে চেক করছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে সহায়তা করছেন আরো কয়েকজন পুলিশের কনস্টেবল। ঘড়ির কাটায় তখন দু’টা ৪০ মিনিট। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেমরার সারুলিয়ার পূর্ববক্স নগরস্থ বাসা থেকে একজন পেশাদার সাংবাদিককে নিয়ে ঢাকার পত্রিকা অফিসের উদ্দেশ্যে সাইনবোর্ড এলাকা অতিক্রম করছিলো সংবাদপত্র ব্যানার সাটানো একটি সিএনজি। সাদা পোশাকধারী পুলিশের ঐ কর্মকর্তা ওয়ারলেস সেট উঁচু করে ক্ষিপ্ত স্বরে সংবাদপত্রের সিএনজি ড্রাইভারকে বলেন, বাম দিকে চাপা।
ড্রাইভার ভীত-সন্ত্রস্ত স্বরে বলে উঠেন আল্লাহ জানেন কী অপরাধ করলাম। রাস্তার পাশে চাপাতেই দু’তিন জন পুলিশ কনস্টেবল সংবাদপত্রের সিএনজিটিকে ঘিরে ধরে উত্তেজিত স্বরে বলেন, কৈ যাচ্ছেন ? রাস্তায় বের হচ্ছেন কেন ? সিএনজির ভেতর থেকে সাংবাদিক তার পরিচয়পত্র জানালার ফাঁক দিয়ে দেখিয়ে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যেই ঢাকার পত্রিকা অফিসে যাচ্ছি। কনস্টেবল পুলিশ কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, স্যার দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক। সাংবাদিক শুনেই ঐ পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে উচ্চ স্বরে বলেন, কিসের ইনকিলাব।
সিএনজিতে সংবাদপত্র ব্যানার লাগিয়ে বের হবেন কেনো ? বস এর যেই কথা সেই কাজ ! এ যেনো রীতিমতো সংবাদপত্র ব্যানারের সাথে পুলিশের মল্লযুদ্ধ। পুলিশ কর্মকর্তা ব্যানার খুলে রাখার ইশারা দিতেই দু’কনস্টেবল সিএনজির সামনে রশি দিয়ে বাধা সংবাদপত্র ব্যানারটি মুহুর্তে টেনেহেচরে খুলে নিয়ে লোহার ব্যারিকেটের উপর ছুঁড়ে মারে। এ সময় উপস্থিত পথচারিরা পুলিশের অনাকাঙ্খিত আচরণে হতবাক হন। ওয়ারলেসধারী পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেন, সংবাদপত্র ব্যানার নিয়ে রাস্তায় বের হবেন না। পত্রিকার কার্ড থাকলেই হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছিনিয়ে নেয়া সংবাদপত্র ব্যানারটি দেয়া যাবে না। আপনারা চলে যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন