রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দাফনের ১১ দিন পর লাশ উত্তোলন

পরকিয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

অবশেষে লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত জলিল হত্যার জট খুলেছে। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে পরকীয়া প্রেমিক রব্বানী ও প্রেমিকা মৃত আব্দুর জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম। এ ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটন ও পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল শহরে সাপটানা কবরস্থানে দাফন হওয়ার ১১ দিন পর পরকীয়ার বলি জলিলের লাশ উত্তোলন করে পুলিশ।
ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার কাচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম প্রতিবেশিদের বলেন, তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। পরে মমিনা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে জানাজা শেষে লাশ দাফন করেন। ২৪ জুলাই বিকেলে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। ওই মিলাদ মাহফিলে মরহুমের স্ত্রী ও মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। জলিলের স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে নিহতের বড় ভাই আব্দুর রশিদ ২৫ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও সদর থানা পুলিশ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ আমলে নিয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যান এবং কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। রাতে সেখানে মমিনা ও রব্বানী জলিলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাদের দুজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারনেই ওই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে তারা জানায়। পরে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামান ঘাতক মমিনাকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে এসে হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। এ হত্যাকান্ডে দুইজন জড়িত থাকায় মমিনা আর রব্বানীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ।অভিযোগের ভিত্তিতেই স্ত্রী মমিনা ও পরকিয়া প্রেমিক রব্বানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। লাশ উত্তোলন বিষয়ে তিনি বলেন এটি তদন্তেরই একটি আইনী প্রক্রিয়া।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন