রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের ফেরাতে অল্প সময়ের জন্য লঞ্চ চলাচল চালু করার পর তা ফের বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, কারখানার শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে লঞ্চ চালু করা হয়েছিল। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে যেসব লঞ্চ এরই মধ্যে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে, সেগুলো ভিড়তে পারবে।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গত রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার পর রাস্তায় শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে বাড়ি গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকে পড়া শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে সীমাহীন দুর্ভোগ সময়েই কর্মস্থলে ফিরতে থাকেন। এর মধ্যে ৩১ জুলাই রাতে সরকার ঘোষণা দেয় শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরাতে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলবে। পরে সে সময় গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরনের শিল্প-কারখানা। এখন রফতানিমুখী শিল্প-কারখানাকেও বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন