এবার বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক হওয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দেশে একের পর এক মডেল-অভিনেত্রীর নানান কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসতে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। বিতর্কিত এসব অভিনেত্রীর অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে নেট দুনিয়ায়। বিশেষ করে পরীমনির অশ্লীল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেখা গেছে সচেতন নাগরিকদের।
সম্প্রতি বোট ক্লাব কাণ্ডের পর চিত্রনায়িকা পরীমনির উচ্ছৃঙ্খল জীবন ও অপকর্ম নিয়ে একে একে বের হয়ে আসছে নানা ঘটনা। কে এই পরীমনি এবং কিভাবে শোবিজে তার আগমণ ও অল্প সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন, ফ্লপ সিনেমার নায়িকা হয়েও কিভাবে কোটি টাকার মালিক হলেন? এসব প্রশ্ন এখন আলোচিত হয়ে আসছে।
আজ বুধবার বিকাল পাঁচটার কিছু সময় আগে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। বিপুল পরিমাণ মদ পাওয়া যাওয়ায় তাকে আটক করে বাহিনীটি।
এর আগে বিকাল চারটার দিকে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে আসেন পরীমনি। লাইভে অভিযানে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডাকাত বলে পরিচয় করিয়ে দিতে দেখা যায়। তার এই আচরণের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয় ফেসবুকে। লাইভে পরীমনি জানান, তার বাসায় সিভিলে এসে কেউ দরজা খোলার জন্য বলছে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলেও তারা পরিচয় দিচ্ছেন না। একেকজনের একেকরকম পোশাক, চেহারা। ডাকাতের মতো মনে হচ্ছে।
পরীমনির প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে ফেসবুকে আসাদুল হাবিব আসাদ লিখেছেন, ‘‘পরিমনি এক নম্বর বেয়াদব একজন মহিলা যার জন্য অসংখ্য গুনি শিল্পীদের আজ সন্মান হানি করলো। তাছাড়া একজন আর্টিস হয়ে তার বেপরোয়া চলাফেরা সহ তার শারীরিক অঙ্গ ভঙ্গি শ্রোতারা জেনে ফেলেছে এবং তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য অসংখ্য শ্রোতা তাকে ঘৃণা ও ধিক্কার দিচ্ছে।’’
সাইফুল ইসলাম সোহেল শাস্তির দাবি জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডাকাত বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন লাইভে। নিষ্পাপ পরীমনির শাস্তি হোক কঠোর।এভাবেই মাদকের আখড়া গুড়িয়ে দেওয়া হউক। ধন্যবাদ প্রশাসনকে।’’
সমালোচনা করে জাফর আহমেদ লিখেছেন, ‘‘অবৈধ বার এখন মডেল ও নায়িকাদের বাসায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করি।আরো অভিযান পরিচালনা করা উচিত।সাথে হাইব্রিড রাজনৈতিক নেতা ও নেত্রীরির,আমলা,সচিব, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ঠিকাদার,অবৈধভাবে গড়া সম্পত্তি ওয়ালাদের উপর কঠোর অভিযান চাই।’’
আরাফাত ইয়াসিন ক্ষোভ থেকে লিখেছেন, ‘‘এদের আছে শুধু যৌনতা আর শরীরের বাহাদুরি, হয়তোবা আর ৮ থেকে ১০ বছর ভাল সার্ভিস দিতে পারবে, তারপর যখন শরীরের পাওয়ার এনার্জি কমে যাবে, তখন কিছুদিন খয়রাতি করবে, আর মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে এসে ভিক্ষুকের মতো চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে অনুদান চাইবে, এই নষ্টা সংস্কৃতির জন্য দেশের যুব সমাজ আজকে ধ্বংসের পথে।’’
আরাফাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘‘তাকে একজন নারী হিসেবে না দেখে অপরাধী হিসেবে দেখুন । এর আগেও তার কথা বার্তায় গড়মিল পাওয়া গেছে । শুধু ফেসবুক লাইভ করে পংগপালের মতো মিডিয়া ডেকে আনলেই কোন ব্যাক্তি নির্দোষ হয় না । সেদিন রাতে কি ঘটেছিল সেটার সঠিক বিবরন সকলের জানা জরুরী । কেন উনার কথায় এতো গড়মিল সেটা ক্লিয়ার করতে হবে । একজন সুন্দরী নারী বলেই তার প্রতি অবিচার হবে এই ভাবনা থেকে সরে আসার এখনই সময়।’’
আব্দুল্লাহ আল মামুনের মন্তব্য, ‘‘সিনেমা আর বাস্তব জীবন এক না ভাই। সিনেমায় হিরোইন বিপদে পড়লে 'হেল্প, হেল্প, কে কোথায় আছো?' বলে চিল্লানি দিলেই হিরো যেখানেই থাকুক ছুটে চলে আসে। অথচো আজ পরীমনির বিপদে কেউ আসেনি, শেষমেশ তাকে ফেসবুক লাইভে আসা লাগলো।’’
মিলন চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘পরিমনির রিমান্ড চাই। পরীমনি বড় বড় যা অপরাধ করেছেন সেগুলোর শাস্তি হোক পরে,পরীমনির আগে শাস্তি হওয়া উচিত নগ্নতা কাপড় পরিধান করে বর্তমান যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। নিষ্পাপ দাবি করা পরীমনির শাস্তি হোক কঠোরের কঠোর।’’
প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বিপুল পরিমাণ মাদক সহ আটক করা হয়েছে পরীমণিকে এভাবেই মাদকের আখড়া গুড়িয়ে দেওয়া হউক ধন্যবাদ প্রশাসন। এখনই সময় এদেরকে সামাল দিতে হবে, না হয় রাষ্ট্রকে অনেক খেসারত দিতে হবে ধন্যবাদ সরকার কে এভাবে রাগব বোয়ালদের বাসায় বাসায় অভিযান চালিয়ে এদের নষ্টামির পথ রহিত করে দিতে হবে।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন