কেন্দ্রিয় যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সেজে পুলিশকে ফোন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে খুলনায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতারণায় ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটিও সে ওই নামে রেজিস্ট্রেশন করেছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর আজ শুক্রবার বিকালে খুলনার আদালতে ইমরান সরদার (২৭) নামের ওই যুবক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে জেলার রূপসা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার যুবক ইমরান সরদার দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। সে খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার এর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বলে পরিচয় দিয়ে একাধিকবার ফোন করে সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করে। বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সন্দেহ হলে জেলা গোয়েন্দা শাখাকে অবহিত করেন। পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে প্রতারকের ব্যবহৃত সিম ০১৯৩৪-১৪৪১২৯ শেখ পরশ নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়ে যান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার রাত অনুমানিক ১০ টার দিকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন এবং আটকের পর জানতে পারেন সে আসলে একজন প্রতারক ও রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলার মৃত আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে। পেশায় একজন প্রতারক। ওই সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হলে সে স্বেচ্ছায় সবকিছু স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কাছে সে প্রতারণার সকল বিষয় স্বীকার করে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক উজ্জ্বল দত্ত শুক্রবার রাতে গণ মাধ্যমকে জানান, ইমরান সরদার ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের কাছে ও আদালতে সে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে সে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক নয়ন বিশ্বাসের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন