শ্রাবণ মাস শেষ প্রান্তে। বর্ষার বৃষ্টি-ঝরানো মৌসুমী বায়ু আবারও সক্রিয় হয়েছে। এরফলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের প্রায় সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও হয় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ। মেঘ-বৃষ্টির শীতলতায় ভ্যাপসা গরম প্রায় কেটে গেছে।
এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চাঁদপুরে ১৫৩ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ২২, চট্টগ্রামে ২৮, টাঙ্গাইলে ৭২, মাদারীপুরে ৫৩, নেত্রকোণায় ৯৬, নোয়াখালীতে ৬৭, কক্সবাজারে ৮৭, টেকনাফে ৯১, সিলেটে ৩১, বদলগাছীতে ২৬, দিনাজপুরে ৩৬, চুয়াডাঙ্গায় ৬৯, বরিশালে ৪৩, খেপুপাড়ায় ৬৫ মিলিমিটারসহ বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
গতকালও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৩৫.৭, যা আগের দিনের চেয়ে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। সর্বনিম্ন পারদ টাঙ্গাইলে ২৩.৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৮ এবং সর্বনি¤œ ২৫.৪ ডিগ্রি সে.। অধিকাংশ জেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি বা তারও নিচে নেমেছে।
আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। মৌসুুমী বায়ুর একটি বলয় তৈরি হয়েছে ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন