বিদায়মান মৌসুমী বায়ু হঠাৎ সক্রিয় ও জোরালো হয়ে উঠেছে। মৌসুমী বায়ুর সাথে পশ্চিমা লঘুচাপের সক্রিয় প্রভাবে কার্তিক মাসের গোড়াতেই গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সারা দেশে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ ও বজ্রবৃষ্টি, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় ভোলায় ৬৪ মিলিমিটার। স্বস্তির বৃষ্টিপাতের ফলে তাপদাহ কেটে গেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩১.৩ এবং সর্বনিম্ন ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়ায় ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের মধ্য প্রদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় বিরাজ করছে অপর একটি লঘুচাপ। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যে আধিক্য থাকায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রামসহ সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দেশের সবক’টি বিভাগের অধিকাংশ স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশের অবশিষ্ট অঞ্চল থেকে বিদায় নিতে পারে।
আবহাওয়া সতর্কবার্তা
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন