শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগের পূর্ব শর্ত হিসেবে সরকার নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করেন। আমরা অনেক স্বপ্ন বুকে ধারণ করে নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে পাস করার সময় ৪০% নম্বর পেলেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করতে পারতাম। বর্তমান এনটিআরসিয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম, নিবন্ধন পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। আর মেয়েরা ৪০% নম্বর পেলেই অগ্রাধিকার পাবে। এ বৈষম্য দূর করে ছেলেমেয়ে সবাইকে সমমর্যাদা এনে নিয়োগদানের ব্যবস্থা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. ফরহাদুল খন্দকার
সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা।
যারাই করবে সহযোগিতা, তারাই করছে প্রতারণা
সরকার অক্ষম এবং অসচ্ছল ব্যক্তিদের জীবিকা নির্বাহের কথা বিবেচনা করে বয়স্কভাতা, মুক্তিযোদ্ধাভাতা, বিধবা ভাতা, এমনকি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু এসব ভাতা পওয়ার আশায় একটা সার্টিফিকেট জোগাড় করতে গেলেই কিংবা ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এসব টাকা তুলতে গেলেই হয়রানির শিকার হচ্ছে। দিতে হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাকে টাকার ভাগ। কতইবা টাকা দেন সরকার এসব অক্ষম এবং অসচ্ছল ব্যক্তিকে? এর মধ্যে যদি সরকারি কর্মকর্তাদের কিছু দিয়ে আসতে হয় তাহলে কী বা অবশিষ্ট থাকল। কী বা সহযোগিতা পেলো। অসচ্ছল ব্যক্তিরা? এভাবে দিনের পর দিন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভাতাপ্রাপ্ত অক্ষম ও অসচ্ছল ব্যক্তি। এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
সুমন চন্দ্র দে,
সারোয়াতলী, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম
টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট
টাঙ্গাইল জেলা শহর ও শহরতলিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট তথা ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জানা যায়, টাঙ্গাইলে রয়েছে ব্যাটারিচালিত প্রায় চার হাজার অটোরিকশা। প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু লোক নিয়মিত চাঁদার বিনিময়ে এসব অটোরিকশায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। এছাড়া পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুতের একটি চক্র বিদ্যুতের মিটার টেম্পারিং করে টাঙ্গাইলের মিল কারখানা, তাঁত, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে মাসোহারা বিনিময় অবৈধভাবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়ায় লোডসেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এ অবস্থায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ও তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে টাঙ্গাইলবাসীকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সোহেল চৌধুরী
প্যারাডাইসপাড়া, টাঙ্গাইল।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট !
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু করে আমান বাজার, চৌধুরীহাট, ফতেয়াবাদ, মদনহাট, সরকারহাট, কার্টিরহাট পর্যন্ত গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিদিন শত শত রোগী রোগ নির্ণয় করার জন্য যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ৮০ ভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। এমনকি হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখস্থ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও একই অবস্থা। অদক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা কাজ চালানো হচ্ছে। যাদের নেই কোনো প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা। মাঝে মাঝে সিভিল সার্জন বা টিএনও তদারকির সময় ২০-৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যান। তারপর আবার চলতে থাকে একইভাবে। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ এস শ্রাবণ
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
নাখালপাড়া ফ্লাইওভার দুইদিকে সম্প্রসারণ করা হোক
রাজধানীতে যানজটের জন্য স্বাভাবিক কাজকর্ম করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারটি উত্তর-দক্ষিণের জনগণের জন্য এক বিরাট আর্শীবাদ। তবে নাখালপাড়া ফ্লাইওভারটি সম্প্রসারণ করে বিজয় সরণির সঙ্গে যুক্ত করা হলে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের নিরসন হবে। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুরাদ হোসেন
১৫৪ আহমদনগর, কমিশনার রোড,
মিরপুর, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন