সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

আমরা কাঁদি কেন

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

আমরা কাঁদি কেন? কান্নার সময় চোখ বেয়ে পানি পড়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে কান্নার প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যায় না গিয়ে কান্নার কারণগুলো ব্যাখ্যা দেওয়া যাক। জীবনের সুখ-দুঃখ, কারণ-অকারণ সবকিছুতেই কাঁদতে পারেন মানুষ। এখানে জনৈক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা করা সাতটি কারণ উল্লেখ করা হল-

জীবনে কোনো সঙ্গী বা সঙ্গিনী না থাকার যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি। মানুষের কান্নার জন্য এই কারণটি খুবই শক্তিশালী। একাকিত্ব সঙ্গী না-থাকার জন্য হতে পারে। আবার বাড়ি ছেড়ে বহুদিন দূরে কোথাও থাকার জন্যও হতে পারে।

প্রচন্ড ভয় মানুষকে কাঁদায়। মেয়েদের মন অনেক নরম হয়। দেখা গেছে, কোনো মেয়ের সামনে অচেনা-অজানা কারো বড়ো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেল এবং তা দেখে মেয়েটি কেঁদে ফেলল। এমন ঘটনা ছেলেদেরও হয়।
ভালোবাসায় পড়লে এবং ভালোবাসা ভেঙে গেলে মানুষ কাঁদে। মাত্রাতিরিক্ত আবেগ কান্নার ঝড় তোলে। বাবা-মা বহুদিন সন্তানকে না-দেখতে পারলে কাঁদেন। আবার প্রেমিক-প্রেমিকা বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় কাঁদেন। এসবের মূলে রয়েছে ভালোবাসা।

ঘৃণায় রাগ ও উত্তেজনা ছড়ালেও সেখানে কান্না জড়িয়ে পড়ে। প্রিয় কারো প্রতি আচমকা ঘৃণা জন্মালে মানুষ কেঁদে ফেলে। এই কান্না আসে অবিশ্বাস্য ঘৃণা থেকে।

হতাশায় ডুবে গেলে তার কান্না বেশ যন্ত্রদায়ক। কোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রাণপণ চেষ্টা যখন বৃথা যায় তখন হতাশায় ডুবে কেঁদে ফেলে মানুষ। যে-কোনো ধরনের হাতাশা মানুষকে দুর্বল করে দেয় এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখা যায় অশ্রæ বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে।

আমরা বেঁচে আছি এবং এক সময় পৃথিবী থেকে চলে যাব। এই সত্য সবাই অনুধাবন করেন। কিন্তু কাছের কারো মৃত্যুতে আমাদের বুক ফেটে কান্না বের হয়। এই কষ্টের কান্নার কোনো তুলনা চলে না। কারণ কাউতে চিরতরে হারানোর বেদনা মানুষ সামলাতে পারে না।

অতি আনন্দে মানুষ কাঁদে এ কান্নায় থাকে কিছু পাওয়ার স্বাদ। ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় প্রথম স্থান পাওয়ার আনন্দে বাবা-মা কেঁদে ফেলেন। অবিশ্বাস্য কোনো সফলতায় কান্না আসে। বহুদিন পর প্রিয় কাউকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে মানুষ কাঁদে। এ কান্না আনন্দে ভরিয়ে তোলে মন।

সাংবাদিক-কলামিস্ট।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন