টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একই রাতে একাধিক বাড়িতে সিঁধ কেটে প্রায় সাড়ে ৯ ভরি স্বর্ণ ও ৬২ হাজার নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ কাজে বাঁধা দেওয়ায় বাড়ির মালিক বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ছামাদ মাস্টারকে নেশাগ্রস্থ করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটে-মাদকসেবী পাপন ও মাসুদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার ৭ আগস্ট রাতে উপজেলা অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছামাদ মাস্টারের বড় ছেলে আব্দুল হাকিম বলেন- আমাদের ঘরে থাকা স্বর্ণ, নগদ টাকা তারা চুরি করে নিয়ে যায় ওই দুই জন। এছাড়া আমার বাবাকে মারধর করে আহত করেছে। তিনি আরও বলেন- এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানায় গত রবিবার পাপন ও মাসুদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছামাদ মাস্টার (মসজিদের ইমাম) বলেন- ‘আনুমানিক রাত ২ টার দিকে তারা সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে নাকের কাছে কি যেন চেপে ধরে পাপন ও মাসুদ। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে আমার কাছ থেকে আলমারি ও ট্যাংকের চাবি নিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণ লুটপাট করে নিয়ে যায়।’ আরেক ভুক্তভোগি আব্দুল হাই বলেন- ‘একই রাতে আমার বাড়িতেও আনুমানিক রাত দেড় টার দিকে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে পাপন ও মাসুদ ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার ঘরে থাকা দেড় ভরি স্বর্ণ, ১২ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ ৩ টা জমির দলিলসহ কয়েকটি জাতীয় পরিচয়পত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে দেখে ফেললে মেরে ফেলার হুমকি দেন।’
স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা জানান- ‘পাপন ও মাসুদ এ গ্রামের বখাটে যুবক। তারা বিভিন্ন সময়ে চুরি করাসহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম করে থাকেন। গেল শনিবার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মসজিদের ইমামের বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরি করেছে। শুধু এ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতেই নয়, এর আগে তারা আরও কয়েকজনের বাড়ি থেকে লুটপাট ও মোবাইল চুরি করার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পাপন ও মাসুদের চাচা ছরোয়ার হোসেন চুরির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন- ‘চুরির বিষয়ে আমি কিছু জানি না’। এ ঘটনায় অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রহিজ উদ্দিন আকন্দ বলেন- ‘এ ঘটনায় সালিসে বসার কথা হয়েছিল। তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার এসআই মো. জিলকদ জানান- চুরির অভিযোগের রিপোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন