শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান চাই

প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানাধীন হাদিরা ইউনিয়নে প্রায় দুমাস ধরে দিনরাত মিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় মাত্র দেড় ঘণ্টা বা তার কম সময়। প্রচ- গরম, আলোর অভাবে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় সমস্যা, সব মিলিয়ে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এদিকে অনাবৃষ্টির কারণে পানি শূন্য ফসলের মাঠ। সেচব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ফসল নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। ফ্রিজ থাকা সত্ত্বেও কোরবানির ঈদের গোশত সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। শোনা যায়, হাজরাবাড়ী থেকে আসা লাইনটি দুই ভাগ তথা এক ভাগ হাজরাবাড়ী অপর ভাগ গোপালপুরের অধীন করার কারণেই এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
রবিউল ইসলাম, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।

স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার হাল
পত্রিকান্তরে প্রকাশ, খুলনা বিভাগের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। নওগাঁ জেলার সাপাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সময়ের ৭০০-৮০০ ছাত্রীর স্থলে বর্তমানে ১৫০ জন রয়েছে। ঐ উচ্চ বিদ্যালয়ে অঙ্কের শিক্ষক কয়েক বছর নাই। বিদ্যালয়ের এমন বেহাল অবস্থার কারণে কোনো শিক্ষক নাকি বেশিদিন থাকেন না। সরকার শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া সত্ত্বেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে এমন করুণ অবস্থা। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়েই কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ভিত তৈরি হয়। শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুরবস্থার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে সেগুলো দ্রুত সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কাজিমদার ওয়ালিউল হক, নওগাঁও।

ভালো নাটক দেখতে চাই
মনে হচ্ছে নাটকের এখন ভরা দুর্দিন। এই ঈদে টিভির সামনে বসে তাই মনে হলো। অধিকাংশ নাটক নামেই নাটক। গল্প নাই। অভিনয় নাই। ভালো চিত্রায়ন নাই। শুধুই ন্যাকামি। অগোছালো সংলাপ। প্রাণহীন অভিনয়। বিজ্ঞাপন তো আছেই। মেনে নিলাম ব্যবসায়িক কারণে বিজ্ঞাপন। তারপরেও নাটকটি যদি ভালো হতো। তাহলে কোনো দুঃখ থাকত না। নাটকের নামে নিছকই তামাশা। জোর করে হাসানোর চেষ্টা। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষার চরম বিকৃতি হচ্ছে। উচ্চারণ ঠিক হয় না। বাংলার মধ্যে যত্রতত্র ইংরেজি। ইদানীং যোগ হয়েছে ধূমপান। মানহীন নাটক দর্শকদের বিরক্ত করে। যারা নাটক বাছাই করেন তারা কিভাবে বাছাই করেন জানি না। নাকি প্রচার করতে হবে। তাই বাছবিচার না করেই ছেড়ে দেন। তথ্য মন্ত্রণালয় তো আছে। তারাও তো কিছু করতে পারে। বিনোদনের নামে প্রতারণার কোনো বিচার নাই। অথচ আগে কিন্তু এমন ছিল না। যেই চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ল ওমনি নাটকের মানের অবনতি হতে থাকল। আমাদের দেশে কি প্রতিভাবান লেখকের অভাব? প্রতিভাবান নির্মাতা আছেন। তবে তারা সুযোগ পাচ্ছেন না। অভিনেতা আবুল হায়াত বলেছেন- নাটক চলে গেছে বেনিয়াদের হাতে। এতেই অনুমেয় নাটকের এখন দুর্দিন চলছে। নাটক যারা বানান। যারা স্পন্সর করেন। যারা প্রচার করেন। সকলের কাছে অনুরোধ- ভালো নাটক দেখতে চাই, সেজন্য যা করণীয় তাই করুন।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বনানী, ঢাকা।

রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন
সুনামগঞ্জ জেলা ধর্মপাশা হাওর বেষ্টিত উপজেলা। এই উপজেলা থেকে জেলায় যেতে আট ঘণ্টা সময় লাগে। তাও জলপথে লঞ্চ যাত্রা। অথচ নেত্রকোনা আসতে লাগে আমাদের এক ঘণ্টা, রাজধানী ঢাকায় নেত্রকোনা ময়মনসিংহ হয়ে আসতে লাগে পাঁচ ঘণ্টা। ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফল স্বরূপ ধর্মপাশা থেকে হাওরের মধ্যে গড়ে উঠেছে ধর্মপাশা থেকে মহেশখলা পর্যন্ত বিশাল রাস্তা। ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর ও ধর্মপাশা থেকে জয়শ্রী পর্যন্ত সবসময় চলছে অটো, লেগুনা, বাস, ট্রাক ও হোন্ডা। এ অবস্থায় মোহনগঞ্জ থেকে রেল সম্প্রসারণ করে ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত যুক্ত করা গেলে দেশের উন্নয়নে পরিবর্তন আসবে। সুতরাং মোহনগঞ্জ থেকে আড়াই কিলোমিটার ধর্মপাশা রেল সম্প্রসারণ এবং ধর্মপাশায় রেলস্টেশন দ্রুত স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আনিসুল হক লিখন
ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন