ধূমপায়ীরা করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের জটিলতা তৈরির আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি। তাছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে দেশে তামাকের ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ চিকিৎসকরা।
আজ (রোববার) সন্ধ্যায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘তামাক ব্যবহার ও কোভিড-১৯ মহামারী : ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তারা এ কথা বলেন।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (রিসার্চ) ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, তামাক ব্যবহার বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম বড় হুমকি। করোনা মহামারীর এই সময়ে ধূমপায়ীরা আরো বেশি ঝুঁকিতে আছেন। তাছাড়া এরোসল বা বাতাসের ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। সেদিক থেকে পরোক্ষ ধূমপানের মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে।
ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী তরুণ চিকিৎসকরা বলেন, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যার ফলে আইনটি তামাকের ব্যবহার কমাতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিশেষ করে করোনার এই সময়ে সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনকে শতভাগ তামাকমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
এছাড়া দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার নির্ধারণ করে দেয়া এবং তামাকদ্রব্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে মত দেন চিকিৎসকরা।
ওয়েবিনারে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের এমএস রেসিডেন্ট ডা. মাসুদ আহমেদ; ঢামেকের এমডি রেসিডেন্ট ডা. হারুন-অর-রশীদ; উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তাসলিমা জান্নাত; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সৃজন সাহা অনিক, আরএমও ডা. মো. দিদারুল ইসলাম, রোগতত্ত্ববিদ ডা. মশিউর রহমান; আইসিডিডিআর,বি’র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর ডা. আমাতুল ফেরদৌসী; আইইডিসিআর-এর মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে আফরোজা তামান্না এবং ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার উম্মে কুলসুম লিপি অংশগ্রহণ করেন।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন