বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে কিসের সংসার’

স্টাফ রিপার্টার, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

বউয়ের এত অপমান সহ্য করে তার মতো মহিলার সাথে সংসার করা সম্ভব হলো না। তাপুর (শিক্ষকের স্ত্রী) মতো মেয়ের আমার মতো স্বামীর দরকার নাই, সে চায় বাড়ি আমি তাদের সবকিছু দিলাম, শেষ পর্যন্ত আমার জীবনটাও দিতে চলেছি, স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে তার সাথে কিসের সংসার। আমার মৃত্যুর জন্য তাপু ও তার পরিবার দায়ী।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নুরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম সুইসাইড নোটে এসব কথা লিখে রেখে আত্মহননের পথ বেঁছে নেন। মৃত্যুর সময় তার ব্যবহৃত ট্রাউজারের পকেট থেকে আবেগঘন নোটটি উদ্ধার করেন শিক্ষক জহুরুল ইসলামের স্বজনরা। জহুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ ধোয়ানোর সময় তার ব্যবহৃত ট্রাউজার ও গেঞ্জি খুলে একটি ব্যাগে রাখা ট্রাউজারের পকেট থেকে সুইসাইড নোটটি পাওয়া যায় বলে তার পরিবারের দাবি। জানা যায়, গত শুক্রবার পরিষ্কার করার জন্য ব্যাগ থেকে ট্রাউজার বের করা হলে পকেট থেকে এই সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হয়। এর আগে গত ৯ আগস্ট উপজেলার আল্লারদর্গা হাইস্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আল্লারদর্গা হাইস্কুলের পিছনে নবনির্মিত একতলা একটি বাড়ি নিজ নামে লিখে নেয়ার জন্য শিক্ষক জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন তাপু বিভিন্নভাবে তাকে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। এ নিয়ে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সালিশও হয়। সবকিছু মেনে নিয়ে জহুরুল ইসলাম সংসার করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় শিক্ষক জহুরুল ইসলামের ছোট ভাই আহাদ আলী নয়ন একটি মামলাও দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন