ঢাকাই সিনেমার রোমান্টিক দম্পতি রাজ-পরী। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটছিল তাদের। তবে বছর শেষে হঠাৎ সংসার ভাঙার খবর জানালেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে নায়িকার ব্যক্তিগত আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।
পরীমণি আরও লেখেন, জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।
এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে রাজ-পরীকে ফোন দেওয়া হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। বারবার রিং হলেও ফোনের ওপাশ থেকে কেউ রিসিভ করেননি।
এদিকে পরীর এমন স্ট্যাটাসে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ঘণ্টা না পেরুতেই প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে। এছাড়াও পাঁচ শতাধিক নেটিজেন পরীর স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন।
জানা যায়, গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন রাজ-পরী। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তারা ঘোষণা দেন, তাদের ঘরে সন্তান আসছে। গত ১০ আগস্ট এই দম্পতির ঘর আলো করে এসেছে একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। তবে এর আগে বেশ হাসি খুশি ভাবেই চলছিল তাদের জীবন।
লেখক, গবেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, রাজের পরী আবার পাখনা মেলেছে, কিন্তু মনিটার কী হবে?
মোহাম্মদ কাওসার আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, বছরের শুরুতে এক বিয়ে বছরের শেষে আরেক বিয়ে। আহা কি আনন্দ, খালি বিয়ে আর বিয়ে।
এনামুল ইসলাম সুমন নামে একজন লিখেছেন, জীবনের প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে- আজ পর্যন্ত অবৈধভাবে বা হারাম পন্থা অবলম্বন করে কাউকেই দীর্ঘমেয়াদী সুখী হতে দেখলাম না। তারাও হতে পারেনি। এটা সবারই জানা ছিল যে, এ বিয়ে কখনোই টিকবে না। তা এখন সবার কাছে স্পষ্ট হলো।
জাবেদ আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, অভিনয়শিল্পীদের বিয়ে এটিএম কার্ডের মতো। ইচ্ছে হলে তারা বিয়ে করে, আবার কাজ শেষ হলেই এ বিয়ে ডুমকো হয়ে যায়।
লিমন হাসান নামে একজন লিখেছেন, ক্লাস শেষ হওয়ায় বছরের শেষে ছাত্রকে ছুটি দিয়ে দিলেন শিক্ষিকা পরীমণি। নতুন বছরে আবার নতুন ছাত্র ভর্তি করে ক্লাস শুরু করাবেন তিনি।
শিক্ষিকা পরীর জন্য শুভ কামনা রইল।
মাহবুব নামে একজন লিখেছেন, রাজ ছিল পরীমণি অবৈধ সন্তানের পিতৃ পরিচয় দানকারী একজন ভাড়াটিয়া বাবা। তাদের মধ্যকার চুক্তি এখন শেষ হয়েছে। সুতরাং তারা যে একসাথে থাকবে এমন কিন্তু কথা ছিল না।
হুমায়ুন আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, পরীমণি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এক জিনিস বেশি দিন ব্যবহার করা উচিত না। পরবর্তীর জন্য শুভ কামনা রইল পরী।
আলী আহমেদ চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, বিয়ে তাদের কাছে একটা সাইনবোর্ড। যখন খুশি বিয়ে করে আবার দুইদিন পর এটা শেষ করে দেই।
নাসির আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, জাতি জানতে চায় এমন করে আজ পর্যন্ত কয়জনকে ছুটি দিলেন, আর সামনে আরও কয়জন নেওয়ার ইচ্ছে আছে আপনার।
ইয়াকুব আলী নামে একজন লিখেছেন, রাজ পরীমণির প্রকৃত পক্ষে কোনো হাজব্রেন্ড ছিল না। তার পেটের জারজ সন্তান, নিজের কুকর্ম ঢাকতে এবং জনগণকে বোকা বানাতে রাজকে পরীমণি শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্বামী হিসেবে ব্যবহার করেছে মাত্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন