কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণে তালেবানের ২৮ সদস্য ও ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ১৫০ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এই জোড়া হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সবচেয়ে প্রাণঘাতি এই হামলার ঘটনায় গুরুতর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। সোশাল মিডিয়ায় চলছে সমালোচনা-তোলপাড়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। অনেকেই এই ঘটনাকে তালেবানের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করছেন।
যদিও হামলার পর পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জানায়, এই হামলার সঙ্গে তালেবানরা জড়িত নয়। অন্যদিকে, ভয়াবহ এই জোড়া বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। দেশটি নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, সারাদেশের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব তাদের হাতে থাকলেও কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে মার্কিন সেনারা। কাজেই এই হামলা প্রতিহত করতে না পারার ব্যর্থ মার্কিন সেনাদের।
ফেসবুকে মোঃ আলমগীর লিখেছেন, ‘‘ওরা আসলে ইহুদি ষ্টেট,নাম দিয়েছে ইসলামি ষ্টেট, মানুষ কে ধোকা দিয়ে বোকা বানানো হচ্ছে,তা নাহলে, ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, সেখানে কোনো প্রতিরোধ নেই ,বা ইসরাইলি দের উপর কোন আক্রমণ করে না কেন, শুধু মুসলিম রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কাছে বোমা হামলা চালায়,আর নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে,দোষ চাপিয়ে দেয়া হয় মুসলিম দের ঘাড়ে, ঠিক যেমন ,উদুর পিন্ডি বুধুর ঘাড়ে।’’
ফয়াজ আহাম্মেদ লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীটা বরই অদ্ভুত কেও যেন কারও বিজয় সজ্যই করতে পারে না। এটা তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। আল্লাহ সবচেয়ে বড় পরিকল্পাকারী আর আল্লাহ সত্যেরই বিজয় দান করে।আর মিথ্যা চক্রান্ত কারীদের ধংস করেন।মুলত মিথ্যা সব সময় সত্যের কাছে পরাজিত হয়।আফগানেও তাই হবে।ইনশাআল্লাহ।’’
হামলার ঘটনায় পশ্চিমাদের দোষারোপ করে মোঃ ইউসুফ লিখেছেন, ‘‘এইটা পশ্চিমা দেশগুলোর পুরাতন কৌশল । দুই দিন আগে সেনা প্রত্যাহারের সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল। তালেবান অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। ঠিক তাঁর পর বোমা হামলার শিকার হয়েছে।’’
এ রাইহানের আশঙ্কা, ‘‘এই অযুহাতে আফগানে যেটুকু ধ্বংস হয়নি তাও ধ্বংস করবে মার্কিনরা।তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে বোমা ফেলে নানা স্থাপনায় হামলা করে আরো অসংখ্য আফগান নাগরিকের জীবন নিবে।’’
ক্ষোভ জানিয়ে ইমন হোসাইন লিখেছেন, এরপরও একদল বুদ্ধিজীবী বলবে আই এস ইসলামি সংঘটন। আসলে এরা তো ইসলামের নাম ব্যবহার করে ইহুদি খ্রিষ্টানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন