সুনামগঞ্জের ছাতকে শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই সন্তানের জনক বশির মিয়া (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটকের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। সে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের বরাটুকা গ্রামের মৃত আবদুল বারিকের ছেলে। গত বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে ছাতক থানাধীন জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হন।
জানা যায়, উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের শারপিননগর গ্রামে বশির মিয়ার শ্বশুর বাড়ি। শশুর বাড়িতে যাওয়া আসার এক পর্যায়ে শ্যালিকার সাথে তার পরকীয়া গড়ে উঠে। দুলাভাই বশির কর্তৃক ওই শ্যালিকার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক হয় লম্পট বশির। ধর্ষিতাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে।
থানার উপ-পরিদর্শক দিলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন