জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উইকেন্ড কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এমফিল এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। গত ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সম্প্রতি বিভাগগুলোতে এই আদেশের চিঠি দেয়ার পর গত দুই সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচী পালন করছেন। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহর না করলে ফি না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
পাশাপাশি বিভাগগুলোর উইকেন্ড কোর্সের সমন্বয়াকারীরা এক জরুরী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
এদিকে গত ২৫ আগস্ট শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি দাওয়া সম্বলিত একটি স্বারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট জমা দিতে যান। কিন্তু তাদের সেই স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করেনি বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের উইকেন্ড কোর্সের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, আমরা স্মারকলিপি দিতে গেলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আমাদেরকে বলেন আমারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না। আমরা বিভাগের ছাত্র। তাই আমাদের কোন অধিকার নেই বন্ধ ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ করার, স্মারকলিপি দেয়ার।
এদিকে কয়েকটি বিভাগের উইকেন্ড কোর্সের সমন্বয়কারী বলেন, সিন্ডিকেটের এমন সিদ্ধান্তে আমরা মর্মাহত। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম এবং যাবতীয় নিয়মাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপর্ষদে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এমন সিদ্ধান্ত নেয়না। এই ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। তাই আমরা এই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘নিয়মিত প্রোগ্রাম আর উইকেন্ড প্রোগ্রামের মধ্য স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত ও উইকেন্ডকে একই সুযোগ দেই তাহলে নিয়মিত ডিগ্রিধারীরা এখানে বঞ্চিত হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ’
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব রহিমা কানিজ বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে যদিও শিক্ষাপর্ষদে আলোচনা হয়, তবে এবার বিশেষ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটে বিষয়টি আলোচানার মাধ্যমে পাশ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন