মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝি নৌরুটে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও ফেরি চালানো সম্ভব হয়নি। নতুন এই রুটে চলাচলের কে-টাইপ ফেরি কুঞ্জলতাকে প্রস্তুত রাখা ছিলো বলেও জানা গেছে। বুধবার থেকে ফেরি চলাচল শুরুর কথা থাকলেও সকালে নৌরুট পরিদর্শন করে বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিউটিএর একটি টিম।
এ সময় তারা বলেন, নৌরুটের বিশাল অংশে পানির গভীরতা ১২ ফুটের জায়গায় ৫ ফুটে এসেছে। এ নাব্যতা সংকট নিরসনে ড্রেজিং ও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে জানান তারা।
নৌরুট পরিদর্শন শেষে বিআইডাব্লিউটিসি পরিচালক (বাণিজ্য) এইচ এম আশিকুজ্জামান বলেন, শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফেরি পরিচালনার জন্য প্রস্তুত ছিলো। মূলত জাহাজ নিয়ে আমাদের নৌরুটে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কালকে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে পানির গভীরতা ছিলো ১২ ফুট সকাল সেটি ৫ ফুটে চলে এসেছে। পানি না বাড়লে আগামী তিন-চার দিনেও ফেরি চালু করা যাবে না।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া এজিএম মোঃ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝি নৌরুটে ফেরি চলাচল পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু নতুন চ্যানেলে হঠাৎ পানি কম থাকায় তা চালানো সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানিয়েছের, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক চ্যানেলের কাজ সম্পন্ন হলে এরুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
এর আগে পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনা এড়াতে বাংলাবাজার ঘাট সরিয়ে নতুন করে শিমুলিয়া ঘাটের সোজাসুজি শরীয়তপুরের ছাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাটে ফেরির পল্টন স্থাপন করা হয়। নাব্যতা সংকটের কারণে এরুটে ফেরি চলাচল শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
গত ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকল ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ধাক্কার ঘটনা এড়াতে ঘাট স্থানান্তরের কাজ চলমান রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন