ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী বর্ষিয়ান নেতা সাইয়েদ আলী শাহ গিলানির মৃত্যুতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরো উপত্যকাজুড়ে চলছে কারফিউসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা। এর আগে বুধবার রাতে গিলানির মৃত্যুর পর এই নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা জারি করা হয়।
রাজধানী শ্রিনগরসহ বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করার পাশাপাশি রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় সশস্ত্র অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের টহলে নিযুক্ত রাখা হয়েছে। একইসাথে কাশ্মিরের ফোন নেটওয়ার্কও বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবারও কারফিউ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে কাশ্মিরজুড়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জেরে শ্রিনগরে বিক্ষোভ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রিনগরের কেন্দ্রীয় নাওয়াবাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে।
এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় শ্রিনগরের হায়দারপোরায় নিজ বাসভবনে সাইয়েদ আলী শাহ গিলানি মৃত্যুবরণ করেন।
পরিবার অভিযোগ করছে, গিলানির শেষ ইচ্ছা অনুসারে তাকে শ্রিনগরের ঈদগাহের কাছে মাজার-ই-শুহাদা কবরস্তানে দাফনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হলেও রাত সাড়ে তিনটায় সরকারি বাহিনী বাড়িতে এসে তার লাশ ছিনিয়ে নেয় এবং বাড়ির কাছে এক কবরস্তানে গোপনে দাফন করে। তবে কাশ্মির পুলিশ এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছে।
কাশ্মিরে ভারত শাসনের বিরোধী স্বাধীকারকামী সংগঠনগুলোর সম্মিলিত জোট অল পার্টিস হুররিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাইয়েদ আলী শাহ গিলানি। হুররিয়াত নেতাদের মধ্যে তাকে কট্টরপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণকারী গিলানি তার জীবনের পুরো সময় কাশ্মীরের স্বাধীকার আন্দোলনে ব্যয় করেছেন। ভারতবিরোধী অবস্থানের কারণে বহুবার কারাগারে ও গৃহবন্দীত্বে থাকতে হয়েছে তাকে। গত এক দশকের প্রায় পুরো সময়েই গৃহবন্দীত্বে ছিলেন তিনি। বার্ধক্য ও দীর্ঘ অসুস্থতায় গত বছর রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। সূত্র : কাশ্মিরওয়ালা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন