বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার বর্ধিত সভা ও কার্যনিবাহি কমিটির সভা আজ শনিবার দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। সভা পরিচালনা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড: সুজিত অধিকারী।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে জয় লাভ করাতে হবে এর কোন বিকল্প নাই। নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে যে সকল নেতা-কর্মী অবস্থান নেবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়নের ধারা কে অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কে বিজয় লাভ করাতে হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মোল্যা জালাল উদ্দিন, সহ-সভাপতিবৃন্দ যথাক্রমে এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, এ্যাড. এম. এম. মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি, আব্দুস সালাম মুর্শিদী এমপি, আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আসন্ন ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর (নৌকার) বিপক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হায়দার মোড়ল, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিজয় কুমার সরকার, সহ-সভাপতি আমির আলী গাঈন, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্যা, পাইকগাছা থানা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ গোলদার, সেনহাটী ইউনিয়নে গাজী জিয়াউর রহমান, কয়রা উপজেলার বেদকাশী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মোড়ল আছের আলী, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শেখ মোঃ আসাবুর রহমান, দাকোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সঞ্জয় মোড়ল, বানিসান্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য সুভাংশু বদ্ধ্য, কামারখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য সমরেশ রায় সহ সকল বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্ব স্ব দলীয় পদ হতে সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ৩ দিনের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর জবাব জেলা দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে থাকেন তাদেরকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তারাও সাময়িক বহিষ্কার হবেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক বিশেষ বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন