চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চকবাজার ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তাদের বিপরীতে বিএনপি সমর্থিত হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন ১ জন। আওয়ামী লীগ থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হওয়ার দৌড়ে যারা আছেন- তাদের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ-সাবেক ছাত্রলীগ নেতা যেমন আছেন তেমনি কিশোর অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও সন্ত্রাসে অভিযুক্তরাও আছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু। তিনি সাতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। গত ১৮ মার্চ তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চকবাজার ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের ২৪ জনের কাউন্সিলর হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে চট্টগ্রাম জুড়ে আলোচনা ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার ছিল চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষদিন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, মোট ২৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন- মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম রহমান, মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী, মজিবুর রহমান, শাহেদুল আজম, মেহেরুন্নিছা খানম, নুর মোস্তফা টিনু, কাজী মুহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, আলী আকবর হোসেন, মোহাম্মদ নুরুল হুদা, আব্দুর রউফ, সামশেদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ দেলোয়ার হাছান, মমতাজ খান, শওকত ওসমান, মোহাম্মদ রুবেল ছিদ্দিকী, আজিজুর রহমান, মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ জাবেদ, কাজল প্রিয়া বড়ুয়া, কায়সার আহমদ, এ কে এম সালাহউদ্দিন কাউসার এবং ইয়াছিন আহমেদ। এর মধ্যে এ কে এম সালাহউদ্দিন কাউসার ছাড়া বাকি ২৪ জনই আওয়ামী ঘরানার। একেএম সালাহউদ্দিন কায়সার বিএনপি সমর্থিত হিসেবে গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র বাছাই হবে। ১৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৯৪ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন