বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীতে ভারতের অর্থনীতি যেভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে ততটা হয়নি। তবুও রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব আমরা অনেকখানি মোকাবিলা করতে পেরেছি। তাই দেশের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার হয়েছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে দৈনিক ইনকিলাবকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে ড. মইনুল ইসলাম বলেন, চলতি অর্থবছরের আরো ৯ মাস সামনে আছে। আমাদের ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা কঠিন হবে না, যদি বর্তমান অগ্রগতি ধরে রেখে আরও এগিয়ে নেয়া যায়। করোনার নতুন আর কোন ঢেউ না এলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন, বিনিয়োগ ও উৎপাদন জোরদার হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, সারা দেশে একশ’টি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের ভালো উদ্যোগ। এরমধ্যে সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জোন চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের অবকাঠামোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, মীরসরাই উপকূল থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভওয়ে নির্মাণ, রেলপথ সম্প্রসারণ, আনোয়ারায় চায়না ইকনোমিক জোন অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। কেননা এরফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ-শিল্পায়নের জোয়ার সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নেবে।
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মইনুল ইসলাম আরো বলেন, কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব অনেকাংশে মোকাবেলা করতে পারলেও ইদানীং রেমিট্যান্স কমে গেছে। হুন্ডি বেড়ে গেছে। পুঁজি পাচার হয়ে যাচ্ছে। দেশের রফতানির অনুপাতে আমদানি ব্যয় বাড়ছে। এতে করে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে আমদানি বৃদ্ধি সবসময় খারাপ তাও কিন্তু নয়। কেননা এটা অর্থনীতির গতিসঞ্চারের দিক।
ড. মইনুল ইসলাম গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিদেশে পুঁজি পাচার, ঋণখেলাপী এবং দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি শিথিল। এ ক্ষেত্রে সরকারের সাবধানী ও কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন