শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পাওনা টাকা চাওয়ায় বিধবাকে হত্যা

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

নাটোরের বড়াইগ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাম্বিয়া বেওয়া (৪৫) নামে এক বিধবা মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার উপজেলার গড়মাটি গ্রামের লইমুদ্দিনের বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মৃত আফসার আলীর স্ত্রী। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত লইমুদ্দিন স্বপরিবারে পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি বড়াইগ্রামের গড়মাটি গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি ধানের চাতালে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি জমানো বেশ কিছু টাকা প্রতিবেশী লইমুদ্দিনকে সুদের উপরে ধার দেন। এনজিও থেকেও ৫০ হাজার টাকা ঋণ তুলে তিনি তাকে দেন। কিন্তু এসব টাকার কিস্তি ঠিকমত না দেয়ায় লইমুদ্দিনের সঙ্গে জাম্বিয়া বেগমের দ্বন্দ্ব হ । পরে বিষয়টি মিটমাটের কথা বলে রোববার সন্ধ্যায় লইমুদ্দিন জাম্বিয়াকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। সোমবার সকালে লইমুদ্দিন মোবাইলে করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান যে, জাম্বিয়া তার তামাকের ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের ভাতিজা সাহাবুল ইসলাম জানান, আমার ফুফুর দেয়া কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের জন্যই লইমুদ্দিন তাকে হত্যা করে বাড়ির একটি ঘরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। আমরা থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, এটা হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্ত্রীর প্রতি অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা
বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাটোরের বড়াইগ্রামে অসুস্থ স্ত্রী প্রায় তিন মাস ধরে বাবার বাড়ি থেকে না আসায় অভিমানে শ্রী বিকাশ চন্দ্র দাস (২০) নামে এক যুবক অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল সোমবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত বিকাশ উপজেলার গুনাইহাটি মহল্লার শ্রী বাচ্চু দাসের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিকাশের স্ত্রী পূজা রাণী কিছুদিন যাবৎ অস্ত্রোপচারসহ শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাটোরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। একাধিক বার বলার পরও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় বিকাশের শ^শুর-শ^াশুড়ি পূজাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাননি। এতে অভিমানে বিকাশ সোমবার রাতে এক সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘুমের বড়ি সেবন করে। পরে স্বজনরা বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত বনপাড়ায় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন