মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পরই ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

মামলার পর চোর ধরা পড়ছে : ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি ই-অরেঞ্জ ডেসটিনি ইভ্যালি সম্পর্কে হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

ডেসটিনি, ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পরই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। গতকাল সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ ওই মন্তব্য করেন।

গতকাল হাইকোর্টের বেঞ্চে অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী।

শুনানিকালে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেন, আমার বাড়ি কেন অরক্ষিত? আমার বাড়ি মানে বাংলাদেশ। দেশের মানুষ দরজা জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে। কিন্তু আমার ঘর কেন অরক্ষিত? আমাদের দরজাগুলা কেন খোলা? মানুষের টাকা কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে? এগুলো বন্ধ করা কাদের দায়িত্ব? এটা আমরা দেখতে চাই। আমরা এটা পরীক্ষা করতে চাই। আমরা এ বিষয়ে দেখেশুনে আদেশ দেবো। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী বলেন, সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইভ্যালির কর্তা ব্যক্তিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তখন হাইকোর্ট বলেন, সরকার তো ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু সেটা কখন? যখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার রেমিডিটা কোথায়? আমার টাকাটা নিয়ে গেল আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। সে থানায় যাবে, জেলে যাবে যাক। কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটা কোথায়? আমরা মামলা করার পর চোর ধরা পড়ছে। চুরি তো ঠেকানো যাচ্ছে না।

আদালত প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকারের কাজ কী? এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন সব কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত করা। সেখানে সরকার ঠিক মতো কাজ করছে কি না। এরপর আদালত রিটের আদেশের জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

রিটকারী আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, দেশের প্রত্যেকটি এলাকায়, প্রতিটি গ্রামে সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা চলছে। আবার অনেকে ব্যক্তিগত ভাবে ঋণ দেয়ার নামে উচ্চ হারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন নিবন্ধন নেই তাদের। সাধারণ মানুষ এসব সুদ কারবারীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও আকাশছোঁয়া। ১০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহের সুদ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কোন ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা, মাসে সুদ হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন তারা।

তিনি বলেন, অনেক পরিবার অনিবন্ধিতভাবে গজিয়ে উঠা এসব সমবায় সমিতি ও সুদকারবারী থেকে ঋণ নিয়ে সুদের বোঝা টানতে টানতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখের সামনে তারা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সারাদেশের অনিবন্ধিত সুদের সব ধরণের ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। রিটে ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিকে বিবাদী করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
ATAUR RAHMAN ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৩৫ এএম says : 0
Good job but government taking a rule as a picture. I demand all the money of investor govt should pay because govt. supporting all the institute . we don't need any MD,OR CEO in jail we need money back.
Total Reply(0)
Adv Nurul Alam ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৫ এএম says : 0
এজেন্টের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরই লোক দেখানো ব্যবস্হা নেয় সরকার।
Total Reply(0)
Md Sahabuddinmember ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৫ এএম says : 0
সরকারের উচিৎ ব্যাংকের মত জমানত নিয়ে অনুমোদন দেওয়া ! ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Md Robiul Hasan ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৭ এএম says : 0
কারন এর মধ্যেই যার যার পকেট ভরার তা ভরে যায় । যখন আর প্রয়োজন থাকে না তখন পদক্ষেপ নেয় । আমাদের দেশের স্বাভাবিক এবং প্রতিনিয়ত এই ঘটনা ঘটছে ।
Total Reply(0)
K M Kabir Hossen ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৭ এএম says : 0
সরকার কিভাবে বুঝলো গ্ৰাহক নিঃশ্ব্য হয়ে গেছে?? এখন যদি এমএলএম কোম্পানি আরেকটা বাহির হয় সেখানে দেখবেন বোকা মানুষ গুলো কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করবে।
Total Reply(0)
Ela Afsari ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৮ এএম says : 0
সরকার সর্বপ্রথম তাদেরকে লাইসেন্স দেয় পাবলিককে নিঃস্ব করার জন্য, পাবলিক যখন নিঃস্ব হয়ে যায় তখন সরকার তাদেরকে। তাদের সেভ জুনে নিয়ে যায়, জনগণ কিছুদিন আহাজারি করে সবকিছু হারিয়ে, লক্ষ লক্ষ মানুষ পথের ফকির হয়ে যায় গরিবের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে যায়
Total Reply(0)
MD Jamal Sharif ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৮ এএম says : 0
রোগী মারা যাওয়ার পরে ডাক্তার আসিলো।এতো আমাদের পুরনো শিক্ষা মাননীয় আদালত। বিচারের বানী নিবৃত্তে কাঁদে
Total Reply(0)
Taiyab Ullah ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৮ এএম says : 0
চোরের দেশে সবকিছু সম্ভব চোরকে বলে তোমার চোরি কর সরকারের লিডাররা বলে আমরা আছি তোমাদের সাথে
Total Reply(0)
Faruk Sheikh ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৯ এএম says : 0
সবাই ই কমার্স নিয়া আছে। বীমা কোম্পানি গুলোর অসহনীয় গ্রাহক হয়রানি নিয়ে কেউ কিছু লিখছেনা কেন? লাখ লাখ গ্রাহকের ম্যচুরিটির টাকা দিচ্ছেনা।
Total Reply(0)
Mohammad Shahadat Hossain ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৯ এএম says : 0
এরা পালিয়ে যায় নাই কিন্তু সরকার এদের জেলে দিয়ে টাকা গুলো সরকারই মেরে দিছে।
Total Reply(0)
Md. Aman Ullah Talukder ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:০৬ এএম says : 0
এক্ষেত্রে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এই যে, জনসাধারনের সুবিধার্থে অভিযোগ গ্রহণের জন্য সরকারী একটি অফিস খোলা যেতে পারে। অভিযোগসমুহ মুলতঃ সেই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যারা জনগনের টাকা নিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না। কেননা, সরকার তাদের লাইসেন্স প্রদান করেছে এবং সেখানেও ব্যবস্যা পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত রয়েছে। আর সরকারের এতে দায় রয়েছে। অভিযোগ প্রদানের সুবিধার্থে ব্যবস্যার ধরন নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে। এটা বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে হতে পারে।
Total Reply(0)
Md. Aman Ullah Talukder ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩২ এএম says : 0
এক্ষেত্রে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এই যে, জনসাধারনের সুবিধার্থে অভিযোগ গ্রহণের জন্য সরকারী একটি অফিস খোলা যেতে পারে। অভিযোগসমুহ মুলতঃ সেই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যারা জনগনের টাকা নিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না। কেননা, সরকার তাদের লাইসেন্স প্রদান করেছে এবং সেখানেও ব্যবস্যা পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত রয়েছে। আর সরকারের এতে দায় রয়েছে। অভিযোগ প্রদানের সুবিধার্থে ব্যবস্যার ধরন নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে। এটা বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে হতে পারে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন