ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের (উ২ক) ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের দুই মামলার মধ্যে একটির রায় ঘোষণা করা হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
গত ২৭ মার্চ মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছেন দুদকের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম। তবে আসামিপক্ষ বলছে, দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আশা করছি তারা খালাস পাবেন।
মানিলন্ডারিং আইনের দু’টি মামলায় ২০১৪ সালের ৪ মে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন। এদের মধ্যে রফিকুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও লে: কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ১০ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।
জামিনে থাকা আসামিরা হলেন, লে: জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুর ইসলাম রুবেল। বাকি ৪৪ জন এখনও পলাতক। পলাতক আসামিরা হলেন, ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, মো: ফিরোজ আলম, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব:) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো: আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো: দেলোয়ার হোসেন ও মো: শফিকুল হক, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো: আকবর হোসেন সুমন, মো: সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো: মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো: ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো: শফিউল ইসলাম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত : মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সেখান থেকে আত্মসাৎ করা হয় ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন