শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

জবির নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সহকর্মীদের মারধরের অভিযোগ

জবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহার বিরুদ্ধে একই দপ্তরের দুই সহাকারী প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই প্রধান প্রকৌশলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৃথক দুইটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

জানা যায়, সহকারী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক পোল মেরামতের জন্য ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু তাকে কাজ করতে না দিয়ে নিজের লোক দিয়ে কাজ করান নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহা। পরে কাজটি ২০ হাজার টাকায় সম্পূর্ণ হলে বিল প্রদান করেন মাজহার। এরপর খরচ না হওয়া কাজের বাকি ৫ হাজার টাকা চান অপূর্ব কুমার। তার অধস্তন মাজহার সে টাকা তাকে না দিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে চান। বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুইজনেই প্রধান প্রকৌশলীর রুমে গেলে দুইজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় অন্য একটি কাজে রুমে ঢুকেন আরেক সহকারী প্রকৌশলী গৌতম কুমার সিকদার। একসময় অপূর্ব রেগে গিয়ে মাজহারকে মারতে উদ্যত হন। কিন্তু সেটা ঠেকাতে গিয়ে চড় ও ঘুষি লাগে গৌতম কুমারের গালে। পরে আবার মারতে উদ্যত হন অপূর্ব। এসময় প্রধান প্রকৌশলী পরিস্থিতি শান্ত করেন।


ঘটনার বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমার নামে মেরামত কাজের টাকা আসলেও অপূর্ব স্যার নিজের মতো করে লোক ঠিক করে কাজ করান। আমি শুধু তাদের কাজের বিনিময়ে বিল পরিশোধ করেছি। পরে আমার কাছে তিনি খরচ না হওয়া ৫ হাজার টাকা চান। আমি প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে জমা দিতে চাইলে তিনি রেগে যান। এক পর্যায়ে তিন আমার উপর চড়াও হন। এছাড়া সহকারী প্রকৌশলী গৌতম কুমার সাহা বলেন, আমি ঠেকাতে গিয়ে মার খেলাম। যত যাই হোক একজন সিনিয়র হয়ে জুনিয়র কলিগের গায়ে হাত দিতে পারেন না। আমরা এর বিচার চাই। এছাড়াও, গত বছরের ১৬ আগস্ট অপূর্ব কুমার সাহা একই দপ্তরের আরেক কর্মচারী টেলিফোন টেকনিশিয়ান রতন ঘোষকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করেন।

মারধরের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না। আপনি চীফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ করেন। পূর্বে এক কর্মচারীকে মারধরের বিষয়েও জানতে চাইলে তিনি ফোন কল কেটে দেন। অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমার সামনে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। পরে দুই পক্ষ অভিযোগ করেছে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমি বিষয়টি দেখছি। সমস্যাটি সমাধান না হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো ওহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে অনুলিপি দিয়েছে ঘটনাটি জানার জন্য। প্রকৌশল দপ্তর বিষয়টি দেখছে। আমাদের কাছে সরাসরি অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে দেখব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন