শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ই-কমার্সে প্রতারণার দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও

ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ষ ৪৪৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমতি বা ছাড়পত্র নিয়েই ব্যবসা করেছে ইভ্যালি। তাই তাদের জালিয়াতির দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিতে হবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর ফলে প্রান্তিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ই-কমার্সে প্রতারণা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলব না। মূলত কাজটি এখন আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা আছে, তারা এসব বিষয় নিয়ে আসে আমাদের এখানে। আইটির বিষয় আছে, সেখানে আইসিটি মিনিস্ট্রি আছে, তারাও দায়িত্ব নেবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মধ্যে তৈরি করে মানুষকে ঠকায়। এটা কিন্তু চলে আসছে। আগে যেভাবে হতো, সেটি এখন ভিন্ন আঙ্গিকে আসছে। আগে ম্যানুয়ালি করত, এখন ইলেক্ট্রিক্যালি করছে। ডিজিটালাইজড ওয়েতে করা হচ্ছে। মানুষ বিশ্বাস করে এখন, কতদিকে নিয়ন্ত্রণ করবে? সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে অবশ্যই। সরকারই দায়িত্ব নেবে। সরকার দায়িত্ব এড়াবে কেন?

ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বিভিন্ন অফিস ঢাকার বাইরেও করা হবে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বাইরে অফিস করা হবে কি না সেটা অন্য মন্ত্রণালয়গুলো বলতে পারবে। যে অফিসগুলো আছে, আমরা কোনো এক সময় ঢাকায় এসেছি। আমরা লেখাপড়া, চাকরি সব করেছি ঢাকায়। আগে ঢাকার বাইরে কিছু ছিল না। আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বলেছি, ঢাকার মধ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে পর্যায়ক্রমে সেই সুযোগ-সুবিধা আমাদের উপজেলা-জেলা লেভেলে নিয়ে যাব। সেভাবেই কাজ হচ্ছে। এখন আমরা সেজন্য বারবার বলে আসছি, শহর আর গ্রামের যে ফারাক সেটা থাকবে না। ক্রমান্বয়ে এ ফারাক কমে আসবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা চাই গ্রামের মানুষকে গ্রামে রাখার জন্য। উপজেলার মানুষকে উপজেলায় রাখার জন্য। এজন্য গ্রামের অবকাঠামো, গ্রামীণ মানুষের জন্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া, আরও অনেক কিছু করতে হবে। সেটি আমরা করে যাচ্ছি। এখন গ্রামের দিকে তাকালে দেখবেন অনেক কিছুই এখন গ্রামে আছে। গ্রামে অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। রাস্তা, হাসপাতাল সবই আছে। আমি মনে করি যে, সুযোগ-সুবিধা থাকলে তারা শহরে আসবে না। আগে দেখার জন্য ঢাকায় আসত, এখন কক্সবাজার যায়। কিছুদিন পর পদ্মা দেখার জন্য মাওয়া যাবে। ভ্রমণের জন্য ঢাকায় আসত, এখন আর ঢাকায় আসবে না। এখন অন্য জায়গায় যেতে আমরা উৎসাহিত করি।

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর ফলে প্রান্তিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। অর্থমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সুদের হার কমানো হয়েছে। আমরা রেটটি রেখেছিলাম যারা পেনশনার আছে এবং যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তাদের জন্য। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম এখানে তুলনামূলক ইন্টারেস্ট একটু বেশি। এর ফলে সবাই এখানে চলে আসছে। এতে আমাদের অর্থনীতির অন্যান্য চালিকা শক্তিগুলো অচল হয়ে যাচ্ছে। এখানে ইন্টারেস্ট রেট কমানোর কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র ডিপোজিট যারা রাখেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিটে সুদের হার কমানো হয়নি।

সরকার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরুৎসাহিত করবে কেন? যাদের উৎসাহিত করা দরকার তাদের উৎসাহিত করতে চাই। এখন যদি এক-দেড় কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র নিয়ে আসে সেটা কী আমরা গ্রহণ করব? এটা তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছি এক লাখ, দুই লাখ, পাঁচ লাখ, ১৫ লাখ, ২৫ লাখ, ৩০ লাখ টাকার ডিপোজিট। আবার যদি বলেন, ক্ষুদ্র ডিপোজিট বেশি রাখেন, সেটাও মানি আমরা। তবে এতে করে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর ফলে কী পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবেÑ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখানে অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে যে সমস্ত ডিপোজিট রাখা হয়, তাদের সঙ্গে মিল রেখেই এটি করা হয়েছে। এখনো সঞ্চয়পত্রে ইন্টারেস্ট অন্যান্যদের তুলনায় একটু বেশি। আমরা সবকিছু বিবেচনায় প্রান্তিক বিনিয়োগকারীর স্বার্থ দেখেছি এবং সবকিছু বিবেচনায় রেখে আমরা ১৫ লাখ পর্যন্ত বিনিয়োগে হাত দেনি। আগের মতোই রেখেছি। ১৫ লাখের ওপরে যেগুলো আছে সেগুলো কিছুটা কমেছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, কখনো বাড়বে, কখনো কমবে। প্রয়োজনে আবার বাড়তেও পারে।

৪৪৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন
সভায় ৪ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৬তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১২টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের চারটি, বিদ্যুৎ বিভাগের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৪,৪৬৬ কোটি ৬৮ লাখ ৮৫ হাজার ১২২ টাকা।

সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ-এর কাছ থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৪২৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে সর্বমোট ১ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৯ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা ব্যয় হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ৮ম ও ৯ম শ্রেণি, এসএসসি ভোকেশনাল, ইবতেদায়ি (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি), দাখিল (৮ম ও ৯ম শ্রেণি) শ্রেণি এবং দাখিল ভোকেশনাল স্তরের ১০ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৮ কপি বই দরদাতা প্রতিষ্ঠান (১) সিডনা প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস (২টি লট) এবং (২) মৌসুমী অপসেট প্রেস (১টি লট) এর কাছ থেকে ১ কোটি ৮১ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৩ টাকায় মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের গড় দাম ১৬.৭৪ টাকা।’

তিনি বলেন, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল এবং কারিগরি (ট্রেড) স্তরের (১৮৮টি লট) বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের দরপ্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ১৮৮টি লটে মোট ১১ কোটি ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৫ কপি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হলে ৬০৫টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৫১২টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। টিইসি কর্তৃক ১৮৮টি লটে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহের জন্য মোট ব্যয় হবে ২৩৬ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৭৩ টাকা। প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের গড় দাম ২১ দশমিক ২৪ টাকা।

সভায় বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহের অপর একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৮ম, ৯ম শ্রেণি, এসএসসি ভোকেশনাল, ইবতেদায়ি (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি), দাখিল (৮ম ও ৯ম শ্রেণি) এবং দাখিল ভোকেশনাল স্তরের ২৪৫টি টেন্ডারে ১০ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ২৪৮ কপি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ৮২১টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৭৭৫টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। টিইসি কর্তৃক ২৪৫টি টেন্ডারে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বইগুলো সংগ্রহ করতে মোট ৩৫০ কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার ৩৫৫ টাকা ব্যয় হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ২০তলা বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র একটি দরপত্র জমা পড়ে যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লিমিটেড-এর নাম সুপারিশ করে। এজন্য ব্যয় হবে ১৫৩ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৭ টাকা। কমিটি প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছে।

সভায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুড়িয়া জাতীয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরাংশ চার লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-০৫ এর পূর্ত কাজ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১৪৭ কোটি ২৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৪ টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মেসার্স এম.এ, বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন