নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আড়ৎ এর জামানতের সাড়ে ৪ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মঠেরঘাট এলাকায় রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন, আড়ৎ এর ব্যবসায়ী রাসেল, দিলরুবা, মুফতি নুরুল নগরী ও সোহেল প্রমুখ।
এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার ধুকুন্দিরচর এলাকার কামাল হোসেন, অহিদুর রহমান, সায়েম ও আলমগীর মিলে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় একটি পাইকারি কাচাঁমালের আড়ৎ চালু করেন। গত বছরের শুরু দিকে তারা আড়ৎ এর সাড়ে ৩ শতাধিক দোকান প্রতিটি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেন। আড়ৎ এর ব্যবসায়ী রাসেল, দিলরুবা, মুফতি নুরুল নগরী ও সোহেলসহ প্রায় দেড় শতাধিক ব্যবসায়ী প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকায় সাড়ে ৩ শ’ দোকান বরাদ্দ নেন। এ টাকা দেয়ার সময় কামাল হোসেনসহ তার লোকজন ব্যবসায়ীদের মানি রিসিট প্রদান করে। আড়ৎ লোকসানের দিকে যাওয়ায় কামাল হোসেনসহ তার সহযোগীরা ব্যবসায়ীদের সাড়ে ৪ কোটি টাকা জামানত ফেরত না দিয়েই আড়ৎ বন্ধ করে দেয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কামাল হোসেনের লোকজন আড়ৎ এর দোকানের বাঁশ, টিন ও খুঁটি খুলতে থাকে। এসময় ব্যবসায়ীরা বাঁধা প্রদান করলে তারা তাদেরকে এলোপাথারিভাবে পেটায় ও হত্যার হুমকি ধামকি প্রদান করে। কামাল হোসেনসহ তার সহযোগীরা ব্যবসায়ীদের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ্ নূসরাত জাহান, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয় ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, আমি যে টাকা আড়ৎ এ ইনভেষ্ট করেছি। তাতে আমি পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকেই টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। বাকীদের টাকাও ফেরত দিয়ে দেয়া হবে কিন্তু আমাকে দুই মাস সময় দিতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ্ নূসরাত জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন