ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে পুলিশ মামলা দেওয়ার কারণে এক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই নিজের মোটরবাইকে আগুন দিয়েছেন। আজ (সোমবার) সকালের দিকে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। বারবার ট্রাফিক পুলিশের মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশের সামনেই তিনি এই কাজ করেন। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়।
ভাইরাল হওয়া ওইসব ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটরসাইকেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ক্ষুব্ধ একজন ব্যক্তিকে ওই মোটরসাইকেলেই হেলমেট ছুড়ে মারতেও দেখা যায়। আশপাশে থাকা অন্যরা মোটরসাইকেলে পানি দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি তাদের বাধা দেন। কারও কথা না শুনে নিজের গাড়িতে আরো পেট্রোল দিতে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে মো. আকতার হোসাইন ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘একবারে ঠিক করেছেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং ট্রাফিক পুলিশ এদের যত আইন আছে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার আর সিএনজি চালকদের বেলায়।’
সেবক চৌধুরী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে ট্রাফিকের বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। না হয় এই দৃশ্য বার বার দেখতে হবে।’
উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মোল্লা এ রহমান লিখেছেন, ‘এখন সময়ের দাবী ট্রাফিক ও পুলিশের চাঁদা বাণিজ্য ও হয়রানি বন্ধ করা উচিৎ। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহ এমডি নাসির লিখেছেন, ‘শক্তের ভক্ত নরমের যম। হাজার হাজার বাস-ট্রাক আছে, যাদের কোন ফিটনেস রেজিস্ট্রেশন নাই, গাড়ি ভাঙ্গা চুরা রাস্তায় চলছে, ট্রাফিক সার্জেন দেখেও না দেখার ভান করে। কারণ বাসের মালিক অনেক প্রতাপশালী বা সার্জেন্ট পুলিশ নিয়মিত মাসোহারা পায়। একটা মানুষ কতটুকু আঘাত পেলে তার নিজের সম্পদ নিজে ধ্বংস করে।’
আমান খান লিখেছেন, ‘কিছু কিছু ট্রাফিক পুলিশ বাইকারদের সাথে যা আচরণ করে, সেটা আসলেই অমানবিক। তাদের কাছ থেকে সহসা ছাড়া পাওয়া যায় না। অথচ রাস্তায় কতশত ফিটনেস, লাইসেন্স বিহীন ভিআইপি গাড়ি চলে, তাদের কিছু করতে পারে না। পারলে উল্টো সেলুট দেয়!
সহমর্মিতা প্রকাশ করে ফারুক মল্লিক লিখেছেন, ‘সত্যিই ভাই, যত আইনের প্রয়োগ এই বেচারাদের ওপরে। কতটা বিরক্ত হলে, এমন করে মানুষ!’
জাতির কাছে এমডি জাবেদ আলীর প্রশ্ন, ‘ট্রাফিক পুলিশের অত্যাচারে জন জীবন বিপর্যস্থ। মটর সাইকেল নিয়ে বের হলে, কাগজ পত্র সব কিছুই ঠিক আছে, তবুও বলবে হাতে গ্লোবস, পায়ে সু পরি নাই, তার জন্য মামলা দেয়। কিন্তু হাতের মধ্যে ২০০-৫০০ টাকা দিলে, ঠিকই ছেড়ে দেয়। আমরা কোন স্বাধীন দেশে বাস করি? এটা থেকে কবে মুক্তি পাবো ‘
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন