চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, করাচি প্রকল্পসহ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দশম যৌথ সহযোগিতা কমিটির (জেসিসি) ফলাফল বাস্তবায়নে চীন পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।
মঙ্গলবার সিপিইসি কাঠামোতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের করাচি কমপ্রিহেনসিভ কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট জোন (কেসিসিডিজেড) অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে তিনি জানান, সিপিইসি’র যৌথ সহযোগিতা কমিটির সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকে, চীন ও পাকিস্তান করাচী প্রকল্পকে সিপিইসি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের ফলাফল হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এর আগে এক টুইটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিপিইসিতে করাচি উপকূলীয় অঞ্চলকে গেম-চেঞ্জার হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, এটি জেলেদের জন্য সামুদ্রিক আবাসস্থল পরিষ্কার করতে, নিম্ন আয়ের আবাসন ইউনিট গড়ে তুলতে এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। এটি করাচিকে উন্নত বন্দর শহরের সমতুল্য করবে।
হুয়া চুনইং বলেন, চীন ও পাকিস্তান সর্ব-আবহাওয়া কৌশলগত সহযোগী অংশীদার এবং সিপিইসি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি প্রধান প্রকল্প। ‘দুই নেতার সাধারণ বোঝাপড়া এবং জেসিসি বৈঠকের ফলাফল বাস্তবায়নের জন্য চীন পাকিস্তানের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।’ তিনি বলেন, চীনের পক্ষ থেকে বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর নির্বিঘ্নে পরিচালনা ও নির্মাণ নিশ্চিত করা হবে এবং স্বাস্থ্য, সবুজ অর্থনীতি এবং ডিজিটাল ক্ষেত্রে সহযোগিতা তুলে ধরা হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের সহযোগিতায় অন্যান্য ফ্রন্টে কাজ করব, সিপিইসি-র যৌথ ভবনের মান উন্নত করব এবং উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রাকে নতুন গতি প্রদান করব।’
সিপিইসি বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (এসএপিএম) ডক্টর খালিদ মনসুরের মতে, সিপিইসি’র দশম যৌথ সহযোগিতা কমিটিতে কেসিসিডিজের অন্তর্ভুক্তি দেশের উন্নয়নের দিগন্তকে প্রসারিত করবে। মনসুর উল্লেখ করেছেন যে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি পাকিস্তানে বিনিয়োগের একটি সুযোগ। তিনি বলেন, ‘বহু বিলিয়ন ডলারের সিপিইসি প্রকল্প তার দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা পাকিস্তানকে উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে।’ সূত্র: ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন