মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউপি সদস্যের বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার জন আহত হয়েছে। কালকিনি উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মান্নান মোল্লার বাড়িতে সোমবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে থানা পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় সাধারণ জনগনের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন সিডিখান ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের নুরাই বেপারীর ছেলে ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শ্যামলী বেগমের স্বামী ইয়ামিন বেপারী (৩৭), একই এলাকার ফুলচান সরদারের ছেলে মিন্টু সরদার (৩৪) ও দক্ষিণকান্দি গ্রামের মৌজালী শিকদারের ছেলে সুমন শিকদার (২৬)। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইয়ামিন বেপারী ও সুমন শিকদারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসফাত ইসতিয়াক রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ইউপি সদস্য মন্নান মোল্লার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে বসে হাতবোমা তৈরি করছিল কয়েকজন যুবক। রাত ১টার দিকে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ইউপি সদস্যের ঘরের চালা ও বেড়ার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা চার জন আহত হন।
ওসি আরোও জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য হাত বোমা তৈরি করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা হয়েছে। তবে আসামীদের নাম-পরিচয় এখনো বলা যাবে না। এর আগেও এ ইউনিয়নে অন্তত তিন বার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মন্নান মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) চাইলাউ মারমাসহ একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
এব্যাপারে সিডিখান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া শিকদার জানান, ‘আগামীত ১১ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একশ্রেণীর প্রভাবশালীরা এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির জন্যে বোমা তৈরি ও বোমা বিস্ফোরণ করছে। এর ফলে আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে।’
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) চাইলাউ মারমা জানান, ‘এর আগেও সিডিখান ইউনিয়নের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে আমাদের নজরে ছিল বিয়ষটি। তবে যারা বোমা তৈরি করতে গিয়ে আহত হয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের চিকিৎসা শেষে গ্রেফতার করা হবে। এবং যার ঘরে এতোগুলো বিস্ফোরক আনা হয়েছে, সেটা কিভাবে আনা হলো সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন