শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্বপ্নপূরণে কবে পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরকে ঘিরে দেশের সম্ভাবনাময় প্রধান অর্থনৈতিক করিডোর বিনিয়োগ-শিল্পায়নে ব্যাপক সাড়া এলেও রেডি শিল্প প্লটসহ পরিপূর্ণ অবয়বে ধীরগতি দুই শতাধিক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ২

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাস্তব রূপায়নের পথে এগিয়ে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জোনÑ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সুবাদে এখন অবকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৩১ হাজার একর বিস্তীর্ণ জমিতে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। অদূর ভবিষ্যতে সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত এর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দেশে একশ’টি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তুলছে। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন।

তবে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, সম্ভাবনা ও স্বপ্নপূরণে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা কবে সম্পন্ন হবে- এ নিয়ে আছে প্রশ্ন ও কৌতূহল বিনিয়োগকারীদের। বিনিয়োগ-শিল্পায়নে আসছে ব্যাপক সাড়া। অথচ সেই তুলনায় রেডি শিল্পের প্লটসহ পরিপূর্ণ অবয়ব তৈরিতে ধীরগতি কাটেনি। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে আরও দ্রুততার তাগিদ দিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় অর্থনৈতিক সম্ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে তারা সতর্ক করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ২২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে। উদ্যোক্তারা এখন শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় অবকাঠামো সুবিধার জন্য মুখিয়ে আছেন। ব্যাংক ঋণের সুদসহ বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে তারা বসে আছেন। আংশিক অবকাঠামো দিয়ে শিল্প-কারখানা স্থাপন করা যাচ্ছেনা। তবে বেজা সূত্র জানায়, যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে তারা শিল্প স্থাপন করছেন কিংবা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শিল্পোদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের অবকাঠামো চাহিদার মধ্যে রয়েছেÑ শিল্প প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা স্থাপনের উপযোগী করে বরাদ্দকৃত জমির মাটি ভরাটকাজ, ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সংযোগ তথা ইউটিলিটি সার্ভিস নিশ্চিত করা, অভ্যন্তরীণ সড়ক রাস্তাঘাট নির্মাণ সম্পন্ন করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে ফোর লেইন বা বহু লেইন একাধিক সংযোগ সড়ক নির্মাণ, হাসপাতাল, শিল্প এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভাঙন ও লবণাক্ততা থেকে রক্ষায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্লুইচ গেইট তৈরি, শিল্পনগরের চারপাশ ঘিরে সোনাগাজী-মীরসরাই-সীতাকুণ্ড সমুদ্র উপকূলে মানসম্মত অন্তত ৩০ ফুট উঁচু সুপার ডাইক (বাঁধ)-কাম-মেরিন ড্রাইভওয়ে নির্মাণ, কন্টেইনার বন্দর স্থাপন, শ্রমিকদের আসা-যাওয়া ও আবাসন সুবিধাসহ শ্রমবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ইত্যাদি। বেজা কর্মকর্তারা জানান, পাউবো’র সহায়তায় প্রকল্পের চারপাশে ডাইক নির্মাণ শেষের দিকে। সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে এক হাজার ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রে কাজ আংশিক হলেও পরিপূর্ণ অবকাঠামো প্রস্তুত হয়নি।

বিগত ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’ প্রকল্প অনুমোদন লাভ করে। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এটি জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহনশীল, পরিবেশবান্ধব দেশের প্রথম ‘ইকো বা গ্রিন শিল্পাঞ্চল’ হতে যাচ্ছে। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রকল্প সম্পন্ন করার টার্গেট রয়েছে। রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যসামগ্রী। ইতোমধ্যে দুইশ’রও বেশি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৮ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে। বর্তমানে ২১টি শিল্প স্থাপনের কাজ চলছে। প্রক্রিয়াধীন আরো ১৮ প্রতিষ্ঠান। দেশি-বিদেশি শিল্প জায়ান্টরা বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে এগিয়ে এসেছে।

এরমধ্যে রয়েছে- বার্জার, এশিয়ান পেইন্টস, বিআর পাওয়ার, নিপ্পন, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল, মডার্ন সিনটেক্স, চীনের জিনইউয়ান কেমিক্যালস, জিয়াংজু ইয়াবাং ডায়েস্ট কোম্পানি, জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস, বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকিউ ইলেকট্রিক, সায়মান, টিকে গ্রুপ, ওয়ালটন, সামিট, বসুন্ধরা, জিপিএইচ, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এন মোহাম্মদ ইত্যাদি। শিল্পজোনের ৩১ হাজার একর জমিতে পর্যায়ক্রমে ৩০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রথম দিকে ৭ লাখ, প্রকল্প সম্পন্ন হলে ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের টার্গেট রাখা হয়েছে।

চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিদেশি এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে আকৃষ্ট করেছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। এখানে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা প্রায় এক হাজার একর জমিতে শিল্প স্থাপন করবে। বেপজার বিশেষায়িত ইপিজেজেড নির্মিত হবে সোয়া এক হাজার একর জমিতে। বেশিরভাগই হচ্ছে রফতানিমুখী শিল্প। তাছাড়া গত ১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বিশেষায়িত গার্মেন্টস পার্ক তৈরির জন্য ২৩৯ একর জমির ইজারা নিয়ে বেজা’র সঙ্গে চুক্তি করেন বিজিএমইএর সদস্য ৪১ জন তৈরি পোশাকের কারখানার মালিক। একই দিনে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ‘সমুদ্রমুখী অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন’ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জরিপ পরিচালনার লক্ষ্যে বেজা’র সাথে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এখানে বন্দর স্থাপনে চট্টগ্রাম বন্দর কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে সরাসরি শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), বেসরকারি উদ্যোগ এবং যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব আসা অব্যাহত রয়েছে। শিল্পোদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীরা একক অথবা যৌথ উদ্যোগে টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ও নীটওয়্যার, ইস্পাত ও লোহাজাত শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, পাটজাত শিল্প, চামড়া শিল্প, রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও মেলামাইন, স্পোর্টস সামগ্রী, খেলনা, সাইকেল, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম, ওষুধ, মেডিকেল সামগ্রী, কন্টেইনার ম্যানুফ্যাকচারিং, ভোজ্যতেল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, হাইব্রিড গাড়ি, মোটরযান ও অটোমোবাইল, আইটি, বিভিন্ন সেবাখাতের পণ্যসামগ্রী উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপন করছে। দেশের অন্যান্য ইপিজেড ও অর্থনৈতিক জোনের তুলনায় এখানে শিল্পপ্লটের আয়তন প্রায় দ্বিগুণ।

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে ধীরগতি প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, অবকাঠামো ধীরগতিতে হলে বিনিয়োগ-শিল্পায়ন ব্যাহত হয়। কেন এমন হচ্ছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাজেকর্মে সমন্বয়, যোগ্যতা ও আগ্রহে ঘাটতি আছে কিনা তা সরকারের খতিয়ে দেখা দরকার। আমার জানামতে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এ প্রকল্পে অর্থায়নে কোন ঘাটতি নেই। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ অপরিহার্য অবকাঠামো সুবিধাগুলো নিশ্চিত হতে হবে। সেখানে একটি কন্টেইনার বন্দর ও ছোট পরিসরে বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরকে ঘিরে মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে দক্ষিণে আনোয়ারা, বাঁশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী এবং কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভওয়ের শেষ প্রান্ত অবধি বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক করিডোর। এর অর্থনৈতিক অর্জন ও সাফল্য নির্ভর করবে শিল্পনগরের অবকাঠামো দ্রুত সম্পন্ন করার উপর।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোসহ ইউটিলিটি সার্ভিসগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীরা চান শিল্প-কারখানা স্থাপনের উপযোগী কাঠামো তৈরি। শিল্প স্থাপনের জন্য এ মুহূর্তে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কাজ শেষ না হলে কীভাবে শিল্প স্থাপন হবে?

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের অবকাঠামো উন্নয়ন যত দ্রুত হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছেনা। শিল্পোদ্যোক্তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে শিল্প স্থাপনের অপেক্ষায় বসে আছেন। ব্যাংক ঋণের সুদ গুণছেন। মাটি ভরাট, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো সুবিধার সবকিছু সম্পন্ন হলেই শিল্প-কারখানা স্থাপনের উপযোগী হবে। করোনার কারণে অনেক দেরি হয়েছে। এখন কাজে দ্রুততা প্রয়োজন।

অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কনসালট্যান্ট মো. আবদুল কাদের খান ইনকিলাবকে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরকে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পিত শিল্পনগর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি হতে যাচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিল্পনগর। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী এই শিল্পনগরকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে বিভিন্ন ধরনের শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরীর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। শিল্প ছাড়াও একটি পূর্ণাঙ্গ শহরের সম্ভাব্য সকল ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ শিল্পনগরে থাকবে হালকা, মাঝারি, বৃহৎ ও ভারী শিল্প-কারখানা। ইতোমধ্যে জাপানের প্রতিষ্ঠান পোর্টসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। মাল্টিমোডাল ব্যবস্থায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় রেল যোগাযোগ স্থাপনে ইতোমধ্যে সমীক্ষা শেষ করেছে।

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে আগামী ২০ বছরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বিশ্বব্যাংক ৪৬৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত প্রকল্প সহায়তা অনুমোদন করেছে। সুবৃহৎ পরিসরে এ শিল্পনগরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বান্ধব বহুমাত্রিক শিল্প-বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পর্যায়ক্রমে সমুদ্র ও বিমানবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, বাণিজ্যিক কেন্দ্র নির্মাণসহ শিল্প ও বাণিজ্যের নিয়ামক সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হবে।

এ শিল্পনগরে এশিয়ান পেইন্টস, মডার্ন সিনটেক্স, বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লি., নিপ্পন, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকিউসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিল্প নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। শিল্পনগরে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো উন্নয়নের কিছু কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, কিছু চলমান রয়েছে এবং অনেক বৃহৎ কাজ পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

ইতোমধ্যে অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছেÑ প্রায় ১০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও ৩টি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার নির্মাণ, তিনটি ব্রিজ নির্মাণ, প্রায় ২০ কি.মি. বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ, একটি ৩৩/১১ কেভিএ সাব-স্টেশন নির্মাণ. ২২ কি.মি. ২ লেইন সংযোগ সড়ক, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার একর ব ভূমি উন্নয়ন, একটি রফতানিমুখী শিল্প স্থাপন, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ইত্যাদি

চলমান অবকাঠামো কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেÑ ১৫০ মে.ও. বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২১২ একর ‘শেখ হাসিনা সরোবর’ নির্মাণ, ৭শ’ একর ভূমি উন্নয়ন, ১২টি শিল্প স্থাপন কাজ, প্রাসনিক ভবন, ২৩০ কেভিএ গ্রিড লাইন ও সাব-স্টেশন, ২৩ কি.মি. সুপার ডাইক, ২২ কি.মি. ‘শেখ হাসিনা সরণি’ নির্মাণ, ব্রিজ কালভার্টসহ ২টি সংযোগ সড়ক উন্নয়ন ইত্যাদি। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরকে আধুনিক ও মানসম্মত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেজা আগামী ৫ বছরের জন্য বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন