নীলফামারী সৈয়দপুরে বৃহৎ শপিংমল সৈয়দপুর প্লাজায় ফুচকা খেয়ে একই পরিবারের শিশুসহ ৩ জন অসুস্থ্য হয়েছে। তাঁরা হলেন, হুসনে আরা (২৮) তাঁর কন্যাদয় রমিসা (১০) ও মাহি আক্তার (৭) তাঁরা দুজনেই শহরের বানিয়াপাড়া আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাঁদের পিতা রেয়াজুল ইসলাম রাজা। পেশায় নির্মাণ শিল্পী।
জানা যায়, গতকাল (১১ অক্টোবর) সোমবার সন্ধ্যায় উল্লেখিত এলাকার গৃহিনী হুসনে আরা তাঁর দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে সন্ধ্যায় শহরে আসেন কেনাকাটা করতে। কেনাকাটা শেষ করে তাঁরা সৈয়দপুর প্লাজায় ফুচকা দোকানে ফুচকা খেতে যান। এক পর্যায়ে ওই গৃহীনি দোকানদারকে বলেন, আপনাদের দোকানের ফুচকা ভাল হলে দেন আর না হলে চলে যাব। দোকানি বলে কেন চলে যাবেন? গৃহিনী বলে পেপারে দেখেছি প্লাজায় ফুচকা খেয়ে মানুষ অসুস্থ্য হয়েছে। দোকানি প্রতি উত্তরে বলেন ভাল হবে আপনারা বসেন।
ওই দোকানে তারা তিনজনই বসে ১ প্লেট করে ফুচকা খান। তারপর বাসা এসে রাত প্রায় ১২ টার পর থেকে তাঁদেও পেটের ব্যাথা, ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও ববি শুরু হয়। এক পর্য়ায়ে তাঁরা স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করেন। তবে তাঁরা সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ডা. নজরুল ইসলাম জানান, ফুচকা মূলত যতœসহকারে স্বাস্থসম্মতভাবে তৈরী করা হয় না। কারন হিসেবে জানান, উপকরণ ময়দা/আটা ভাল মানের হতে হবে। এমনিতেই খোলামেলা অবস্থায় রাখে, রাস্তার ধূলা পড়ে। তাছাড়া ফুচকায় যে তেঁতুলের রস দেয়া হয় তা হাতে হ্যান্ডগ্লোবস না পড়ে পানিতে খালিহাতে তেঁতুল রস তৈরী করে। তাতে করে হাতের ময়লা ওই রসের সাথে মিশ্রিত হয়। তাছাড়া একই পানিতে বার বার প্লেট ধুঁয়ে খাবার পরিবেশন করে। এ ধরনের খাবার খেলে পেটের পিড়া ও পাতলা পায়খানা হবার সম্ভবনা থাকে। তবে এ সমস্ত খাবার থেকে বিরত থাকা ভাল।
উলেখ থাকে যে, গত ১মাস পূর্বে সৈয়দপুর প্লাজায় ফুচকা খেয়ে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের একই পরিবারের ৪ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছিলেন। এমনকি বানিয়াপাড়াসহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার তরুণ তরূণীরা অসুস্থু হয়েছিল। তাই সচেতন মহলের দাবী, যতদ্রুত ওই সপিং মলের ফুচকার দোকানগুলোতে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন