নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রামে রোগাক্রান্ত গাভি গরু জবাই করে গোস্ত কাটা ধোয়ার কাজে নিয়োজিত ২ নারী সহ ৭ জনের হাতে পায়ে ফোস্কা পড়া ক্ষত ও ফোলা রোগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা এটাকে এনথাস্ক রোগ বলে সন্দেহ করলেও শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম শাহাব উদ্দিন বলেন, এটা কি ধরণের রোগ তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কেবল মাত্র আইডিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গাভিটির মালিক দেলুয়া গ্রামের মহিদুল ইসলাম জানান, গত ৭ জুলাই বিকেলে তার প্রায় ২ লাখ টাকা দামের গাভিটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো হলেও সুস্থ হওয়ার লক্ষণ না দেখে ওই দিনই গ্রামের ১১ জন মিলে গাভিটি জবাই করে গোস্ত ভাগাভাগি করে নেয়। ঘটনার ২ দিন পর গোস্ত কাটা সহ অন্যান্য কাজে জড়িত আফতাব উদ্দিন নামের একজনের হাতে পায়ে ফোস্কা পড়ার মতো ক্ষত দেখা দেয় ও ফুলে যায়। এরপর একে একে মনি খাতুনের (৩০) হাতে-মুখে, বিলকিস (৩০), সাখাওয়াৎ (৩৫), মোহন (৪৫), হাবিবুর (৩০) ও সাদ্দাম হোসেনের (১৪) হাতে পায়ে ওই রোগ দেখা দেয়।
গোস্ত ভাগাভাগি করে নেওয়ার সাথে জড়িত ১১ জনের একজন দেলুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ বলেন, ওই গরুর গোস্ত যারা শুধু খেয়েছেন তাদের কিছুই হয়নি। ’
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ওয়ালিউজ্জামান পান্না বলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে যেন কেউ আক্রান্ত না হয় সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। এটা আসলে কি রোগ তা আইডিসিআর এর ল্যাবে পরীক্ষা করার আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন