একটি সংঘবদ্ধ চক্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে এক স্কুল মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে। চাঁদা আদায়ে একাধিক সালিশ দরবার হয়। টাকা দিতে না পারায় সালিশ কর্তৃপক্ষ অসংখ্যবার মোবাইলে ফোন করে ঐ শিক্ষকের কাছে টাকা দাবি করে। পরে ওই শিক্ষককে করা হয় ধর্ষণ মামলার আসামী।
ঘটনার প্রতিকার চেয়ে শিক্ষকের স্ত্রী যাবতীয় কল রেকর্ড সালিশ বৈঠকের ছবি পূর্ব শত্রুতার প্রমাণপত্র সহ গাজীপুর আদালতে একটি মোকাদ্দমা করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে স্পর্শকাতার এই ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দেন। রবিবার গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইলিয়াস রহমানের আদালত সূত্রে এই খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৩ অক্টোবর শিক্ষকের স্ত্রী বাদী হয়ে উক্ত আদালতে এই মোকদ্দমা করেন ( সি আর মোকদ্দমা নং ২৩০ / ২০২১ ) । বিজ্ঞ আদালত বাদীনির বক্তব্য গ্রহণ করে অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় কল রেকর্ড ও তথ্য প্রমান প্রাপ্তি সাপেক্ষে এই আদেশ দেন । ঘটনার বিবরণে প্রকাশ , গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি স্কুলে চাকুরীচ্যুত এক শিক্ষিকা স্থানীয় মেম্বার সহ বেশ কিছু লোকজন নিয়ে চাকুরীতে পূনর্বহালের তদবীর করেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চাকুরীচ্যুত ঐ শিক্ষিকাকে পূনর্বহাল করতে স্কুল কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ঐ শিক্ষিকাকে নিয়ে ইউপি সদস্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ধর্ষনের অভিযোগ এনে দেনদরবার করেন। ঐ দরবারে একাধিক জনপ্রতিনিধি ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা , একাধিক শিক্ষক , শিক্ষক সংগঠনের নেতা ও অভিযুক্ত শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
শালিস বৈঠকে ১০ লাখ টাকা না দিলে ধর্ষ ণ মামলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় ইউপি সদস্য শিক্ষককে ও শিক্ষকের একাধিক লোকজনকে ফোন করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী ও ঐ স্কুলের শিক্ষক বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ঐ মোকদ্দমা দায়ের করেন । এদিকে জয়দেবপুর থানায় চাকুরীচ্যুত শিক্ষিকাকে বাদী করে স্কুল মালিক সাদিকুল ইসলাম সেলিম এর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা ও দায়ের হয় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , বাদীর স্বামী সাদিকুল ইসলাম সেলিমের সাথে আরেকটি স্কুলের বিরোধ চলছিল দীর্ঘ সময় ধরে । অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার সাদিকুলের স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য। স্কুলটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ঐ মেম্বার সাদিকুল ইসলাম সেলিমকে চাপ সৃষ্টি করেন। মূলত স্কুলটি দখলে নিতে না পেরে ঐ ইউপি মেম্বার সেলিমের প্রতিদ্ব ন্দ্বি স্কুলের মালিক পক্ষের সাথে মিশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্কুলটি উচ্ছেদ করার জন্য এই মিথ্যা ধর্ষণ মামলা র ব্যবস্থা করে ছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানায় ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন