নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ধর্ষণের মামলা থেকে রক্ষা পেতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে মো. আবু সুফিয়ান নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কোর্ট এফিডেভিট করে বিয়ে করেন অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা।
সুফিয়ান সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের ৩নং যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান একই বাড়ির দুসম্পর্কের আত্মীয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে রহস্যজনক কারণে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা বুধবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অভিযোগ করে জানান, গত মঙ্গলবার রাতে সুফিয়ান তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে। তা শুনে আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সুবর্ণচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হককে ফোনে অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করি। ওসি আমাকে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। আমি সর্বাত্মক আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করব।
তিনি আরো বলেন, ভিকটিম এবং অভিযুক্ত ছেলে আত্মীয় হয়। শুনেছি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে তারা কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একাধিকবার মো. আবু সুফিয়ানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত ফোন ব্যস্ত পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, আমরা একটা বাল্যবিবাহ হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছেলে পক্ষ পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আর থানায় আসেনি এবং কোন লিখিত অভিযোগও করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন