বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, চট্টগ্রামে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। এতে করে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের চোখ চট্টগ্রামের দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও চট্টগ্রামে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ও পর্যটনখাতে বিনিয়োগে ও সম্ভাব্যতা যাচাই পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গতকাল বুধবার সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যেভাবে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তাতে অচিরেই চট্টগ্রামের সাথে আঞ্চলিক ও বৈশি^ক যোগাযোগ বাড়বে। এখানে যে সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে উঠেছে তাতে বিশ্বের বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে তার ইতিবাচক প্রভাব শুধু বাংলাদেশ বা অঞ্চলগত নয়, বৈশ্বিকভাবে প্রতিফলিত হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত চসিক মেয়রের কাছ থেকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও সমস্যা এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বর্তমানে কি অবস্থায় ও কোন স্তরে আছে তা জানতে চান।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কর্ণফুলী তলদেশ দিয়ে নির্মিত ট্যানেল চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এ পরিণত করতে যাচ্ছে। রেলপথ কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত যোগাযোগ সংযোগের দ্বার খুলে যাবে। মীরসরাই ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চমক দেখাবে। সমগ্র চট্টগ্রামই পর্যটন শিল্পের দ্যুতি ছড়াবে। তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারাটাই আমাদের এখন বড় কাজ ও দায়বদ্ধতা।
এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাউন্সিলর ফর পলিটিকেল অ্যান্ড ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স স্কট এ ব্র্যান্ডন, ইকোনোমিক অ্যান্ড কর্মাশিয়াল স্পেশালিষ্ট শাহীনুর সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন