রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে শেষ পর্যন্ত নৌকার কোনো প্রার্থী থাকল না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশক্রমে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামকে। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন শহিদুল দলের কাছে মনোনয়নই চাননি।
শহিদুলের ছেলে নাদিমুল ইসলাম জানান, তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। তিনি গুরুতর অসুস্থ। এ কারণে দলের কাছে তিনি মনোনয়নই চাননি। দলেরই কেউ হয়তো তার নামে দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড আমার বাবাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু যেহেতু বাবা নির্বাচন করার মতো অবস্থায় নেই তাই আমরা রোববার দাখিলের শেষদিনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।
এদিকে মো. শহিদুল ইসলাম নির্বাচন করতে পারবেন না জেনে রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে শহিদুলের বদলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিকে মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ দেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বোর্ড চর আষাড়িয়াদহের মনোনয়ন সংশোধন করেনি। আর এ কারণে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো প্রার্থী থাকল না।
এব্যপারে মনিরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছি, আনারস প্রতীক চেয়েছি, আমি যেহেতু দল করি সেহেতু মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতা কর্মী আমার সাথে থাকতেই পারে। শহিদুল ইসলাম অসুস্থ্য থাকার কারণে নির্বাচন করতে না পারায় তার পছন্দের প্রার্থী আমি। সে প্রত্যায়নও দিয়েছে। কেউ ফেসবুকে কি লিখলো তার জন্য দায়ি আমি নয়। নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে নিউজ করা প্রয়োজন। সত্যটা জানা যাবে।
এদিকে গত রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা মনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। চেয়েছেন আনারস প্রতীক। এই ইউনিয়নে চারজন প্রার্থীর সবাই স্বতন্ত্র হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন