শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সারাদেশে ১০২ মামলায় আসামি ২০৬১৯ গ্রেফতার ৫৮৫

পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রেক্ষিতে সহিংসতা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার জেরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় ১০২টি মামলা দায়ের করা হয়েছ। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার ৬১৯ জনকে। গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৮৫ জনকে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার পর ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের পুনর্বাসন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা বৃদ্ধির জন্য সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে সরকার। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশজুড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মো. কামরুজ্জামান জানান, পূজামণ্ডপ কেন্দ্রিক অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫৮৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকুতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কিছু ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট কিংবা বিভিন্ন তথ্য বিকৃত বা অপব্যাখ্যা করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের মনিটর করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট। এক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিদেশি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রীতি বিনষ্ট করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও ইন্ধনে হয়েছে। এর সঙ্গে তৃতীয় কোনো শক্তিও জড়িত থাকতে পারে। আমরা অনেক কিছুই দেখছি, অনেক কিছুই অনুমান করছি বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন