চকরিয়া থানা পুলিশের সাবেক ওসি হাবিবুর রহমান ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জাফর হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত দাখিলের জন্য চট্টগ্রাম সি,আই,ডি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল বুধবার মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহ এ আদেশ দেন। এতে মামলার বাদী পক্ষে শুনানি করেন মানবাধিকার নেতা অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান।
আবেদনে উল্ল্যেখ করা হয়, বাদীর ভাতিজা ওমান প্রবাসী মো. জাফরকে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই সকাল ৬টায় পটিয়া থানাধীন কচুয়াই তার বাড়ি ঘেরাও করে চকরিয়া থানার তৎকালীন ওসি হাবিবুর রহমান ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলামসহ ১০/১৫ জন পুলিশ সদস্য। এতে জাফরকে আটক করে চকরিয়া থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ জাফরের অভিভাবক থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই টাকা না পেয়ে ৩১ জুলাই ভোরে জাফরকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে। অতঃপর ওই দিন কচুয়াই ইউপি সদস্য আনোয়ারকে চকরিয়া থানা থেকে মোবাইল ফোনে জাফরের লাশ নিয়ে যেতে বলে। টেকনাফে মেজর (অব.) সিন্হা মো. রাশেদ খান হত্যার ২ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী আদালতে চকরিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণ পূর্বক মুক্তিপণ আদায় ও না পেয়ে হত্যা সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত সিআইডি চট্টগ্রামকে দায়িত্ব দেন।
মামলার হওয়ার এক বছর গত হলেও পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি এমনকি কোন তদন্তও করেনি। এর মধ্যে পুলিশ মামলা তুলে নিতে বাদীকে চাপ দিচ্ছে। এছাড়া জাফরের মাকে মিথ্যা ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে বলে বাদীর অভিযোগ।
অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান জানান, প্রবাসী জাফরের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। মূলত পুলিশ তার থেকে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন