শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দুই যুগ ধরে ঝুলন্ত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা

নিষ্পত্তি করতে লিগ্যাল নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হারুন ভুইয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আবু জোবায়ের হোসাইন সজিব রোববার এ নোটিশ দেন। গতকাল সোমবার তিনি এ তথ্য জানান।

আইন-বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আশু উদ্যোগ না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবেÑ মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে। নোটিশে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিষয়ে ২৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। ‘খুনের মামলা গুম’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত : ১৯৮৪ সালের ‘নতুন মুখের সন্ধান’র মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে ঢাকার প্রতিভাবান তরুণ সোহেল চৌধুরীর। ১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরীর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ওই বছরেই নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত পর্বত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রে যে কয়েকজন সুদর্শন অভিনেতা এসেছেন- সোহেল চৌধুরী তাদের একজন। সোহেল চৌধুরী কয়েকটি ছবিতে পার্শ্ব-চরিত্রেও অভিনয় করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি আরেক ‘নতুন মুখ’ দিতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হয়। তবে নব্বই দশকে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। সোহেল চৌধুরী-দিতি দম্পতির এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৬ সালে দিতিও মারা যান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন