শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

এজলাসে যেমন ছিলেন প্রদীপ ও লিয়াকত

২০০ মানুষ হত্যাকারী প্রদীপের ফাঁসি চাই

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রদীপ ও লিয়াকত ছিলেন নির্বিকার। গতকাল বেলা দুইটার দিকে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। বেলা ২টা ১৬ মিনিটে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি পুরো মামলায় আসামি বাদী ও সাক্ষীদের বক্তব্য উঠে আসা ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আসামি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি কার কী অপরাধ বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। বেলা সাড়ে চারটার দিকে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় শোনার পর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এজলাসে। নির্বিকার ছিলেন প্রদীপ ও লিয়াকত।

আদালত প্রাঙ্গণে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল। প্রদীপসহ আসামিদের প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক জনতা চিৎকার করতে থাকেন। অপর দিকে আসামিদের নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের স্বজনেরা আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

অন্যুদিকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপের ফাঁসিসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আদালত প্রাঙ্গণে গতকাল অবস্থান নিয়েছেন নির্যাতিত শত শত পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা ‘খুনি প্রদীপের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’, ‘মেজর সিনহার খুনি প্রদীপের ফাঁসি চাই’, ‘২০০ মানুষ হত্যাকারীর প্রদীপের ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকেন। আদালত চত্বরে টেকনাফের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিন সোমবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা আদালতের প্রবেশপথের পাশে দুটি ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ান ৩০ থেকে ৪০ জন; যারা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও হয়রানির শিকার পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ‘সর্বস্তরের জনগণ টেকনাফ’, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি— কক্সবাজার জেলা শাখার ব্যানারে ওই মানববন্ধনে দাঁড়ানো কারও কারও হাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের ছবিও দেখা গেছে। ‘ওসি প্রদীপের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি তারা সিনহা হত্যার ন্যায়বিচার দাবি করছিলেন।

মানববন্ধনে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা বলেন, ওসি প্রদীপের ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে ছয়টি মিথ্যা মামলা করা হয়। এ ছাড়া ওসি প্রদীপ তাকে ঢাকা থেকে আটক করে থানায় এনে চরম নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলায় প্রায় একবছর জেল খাটতে বাধ্য করে। ওসি প্রদীপসহ এ মামলার সব আসামির ফাঁসির দাবি করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন