পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের কেন ফেরত দেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘সিসিএস’র রিটের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন। সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম রাসেল চৌধুরী।
গত ২১ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিকাশ, নগদ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ ৭ প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয় সিসিএস। নোটিশে ই-কমার্সে অর্ডার করেছেন কিন্তু পণ্য পাননি এমন গ্রাহকদের অর্থ কেন ফেরত দেয়া হবে না তা পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ই-কমার্সে পেমেন্টের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নিয়ম (এস্ক্রো সিস্টেম) সংশোধন করে গ্রাহকের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত পাওয়ার স্থায়ী পদ্ধতি কেন চালু করা হবে না তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ব্যাংকটির পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও একই মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদ, পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল ওয়্যারলেস, ফোস্টার পে এবং সূর্য পে -এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন বলেন, আমরা সিসিএস থেকে প্রায় সাড়ে ৩০০ ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি। এস্ক্রোতে টাকা আটকে থাকা নিয়ে বেশ জটিলতা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ নোটিশের ধারাবাহিকতায় উপরোক্ত রিট করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন