জয়পুরহাটে পাঁচ শতাধিক মানুষ জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত। ফলে মিলছে না করোনা টিকাসহ অন্যান্য সুবিধা। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, ২০০৭ সালে ভোটার তালিকা করা হয় ও ২০১১ সালে হালনাগাদে, মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সময় এমন হতে পারে। তবে জটিলতা থাকলেও এখন তা দ্রুত সমাধন হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।জীবিত হয়েও জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ভালকী উত্তর পাড়া গ্রামের কাজী জামিউল ইসলাম। তিনি নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা নির্বাচন অফিসসহ নানা দপ্তরে ধণ্যা দিচ্ছেন। করোনা টিকার নিবন্ধন করতে গেলে তা নেয়নি কম্পিউটার সিস্টেম। পরে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জানতে পারেন, জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদের সময় তথ্য ভুলের কারণে তাকে মৃত দেখিয়ে ৮ বছর আগে সার্ভার থেকে নাম মুছে দেয়া হয়েছে।
জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার কাঁচাকুল গ্রামের ছামেতন বেগম ও ভ্যানচালক আব্দুর রহমান বলেন, আমরা জীবিত থেকেও মৃত জীবন যাপন করছি। মৃত হয়ে নানা জটিলতায় আমাদের জীবন চলছে। এমত অবস্থায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ জীবিত হয়েও মৃত। নির্বাচন কমিশন সার্ভারে নাম না থাকায় ভোটাধিকার, ব্যাংক ঋণসহ সরকারি অন্যান্য সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত ও নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তির এনআইডি কার্ড সংশোধন করা হয়েছে। আগামীতে এরকম সমস্যা নিয়ে যারা আসবে দ্রুততার সাথে তাদের আইডি সংশোধন করা হবে।
মন্তব্য করুন