শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : সিভিল সার্জনের দপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ কবে হবে?

প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২০১২ সালের ২২ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক প্রশাসন কর্তৃক সিভিল সার্জনের দপ্তরে কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমরা ৯ জেলায় ৯১১ জন প্রায় ৪ বছর ধরে নিয়োগ বঞ্চিত আছি। মহামান্য হাইকোর্টের দুটি রায়ে মেধা তালিকার ভিত্তিতে ৬০ দিনের মধ্যে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়। তারপর দুই মাস পার হয়ে গেছে। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমাদের পরিবারের বোঝা নয় আশীর্বাদ হওয়ার সুযোগ দেবেন।
বিনয় প্রসাদ কানু
মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।

স্মার্ট কার্ডে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি থাকা উচিত
সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে পরিপূর্ণ পরিচিতিসহ অধিকতর ব্যবহারোপযোগী উন্নতমানের ডিজিটাল পদ্ধতির স্মার্টকার্ড প্রবর্তন ও বিতরণ শুরু করেছেন। স্মার্ট কার্ডে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত সনদপত্র ছাড়া আলাদা কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় পরিচয় সংকটের কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অযথা হয়রানি, বিড়ম্বনা এমনকি বহুক্ষেত্রে অপমানকর পরিস্থিতির শিকারও হতে হচ্ছে। তাই স্মার্ট কার্ডে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি উল্লেখের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মমিন সরকার মুক্তিযোদ্ধা
ঢাকা।

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ
একদিন সন্ধ্যে ৭টার দিকে ঘুমিয়ে ছিলাম। মশা গায়ে ছেকে ধরেছিল। হঠাৎ মশার ভোঁ-ভোঁ আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি একটা মশাও কামড়াচ্ছে না। পরে জানলাম সরকারি দপ্তর থেকে মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়েছে। এখন সেই দপ্তরও আছে। আর নিশ্চয়ই মেশিনগুলোও আছে- তবু জানি না কেন মশা মারার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এটা তো দপ্তরের রুটিন মাফিক কাজ! তারা কি দেখে না যে মশার তা-ব আবার বেড়েছে। আমাদের ঢাকায় আছেন দুজন মেয়র। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে অনেক দিকেই আমূল পরিবর্তন এনেছেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। মশার কামড় তারাও যে একটু-আধটু খাচ্ছেন না এটা বলব না। হয়তো নানা ব্যস্ততায় এটা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। তাই বলব- এদিকে দৃষ্টি দিন এবং মশা নিধনে উদ্যোগ নিন এখনই।
বেগম সামসুন নাহার
গোলাপবাগ, ঢাকা-১২০৩।

বিদ্যালয়টি সরকারি করা হোক
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলাধীন ইলিয়টগঞ্জ রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯০৩ সালে
প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টি দাউদকান্দি উপজেলার সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলার পূর্ব সীমান্তে, চান্দিনা উপজেলার পশ্চিম সীমান্তে এবং মুরাদনগর উপজেলার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত বলে এই তিন উপজেলার শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করে। ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ২৮০০-এর ওপর। এখানে জেএসসি, এসএসসি ও সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র আছে। বিদ্যালয়ের জায়গার পরিমাণ ৪৮৪ শতক। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলও সন্তোষজনক। এ অবস্থায়, বিদ্যালয়টি সরকারি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
আজহারুল ইসলাম ফকির
ইলিয়টগঞ্জ, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

প্রশ্নফাঁস রোধে করণীয়
দেশে প্রতিবছর বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা বাড়ছে তো বাড়ছেই। শত গোপনীয়তা, রাখঢাক করেও এই প্রশ্নফাঁসের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসা যাচ্ছে না। তাই বলে কি এর সমাধানের পথ খুঁজতে হবে না? হবে বৈকি। যে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম চারটি সেট ছাপা হয়। এই চারটি সেটের মধ্যে একটি কাজে লাগে। বাকি তিনটি প্রশ্নের পেছনে ছাপাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ একবার ভেবে দেখুন তো। এই অপচয় থেকে বাঁচানোর জন্যে পরামর্শ হচ্ছে-সৃজনশীল/রচণামূলক প্রশ্ন প্রয়োজনে ৪/৫ সেট তৈরি করে পরীক্ষা শুরুর মাসখানেক আগে তা অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হোক এবং পরীক্ষার ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে পূর্বপ্রকাশিত ঐ ৪/৫ সেটের যে কোনো একটিকে সর্বসমক্ষে লটারির মাধ্যমে নির্দিষ্ট করুন এবং ঘোষণা করে দিন, এই সেটের প্রশ্নের ওপর উত্তর দিতে হবে। নির্দিষ্ট সেই প্রশ্নটি ইচ্ছা করলে যেন পরীক্ষার্থী ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে বের করে নিতে পারে, সে ব্যবস্থাও রাখুন। উল্লেখ্য, বহুনির্বাচনী (গঈছ) অংশ এ সুবিধার আওতায় আসবে না।
প্রশ্ন এইভাবে আগেভাগে ইন্টারনেট ছেড়ে দিলেও ক্ষতি-বৃদ্ধির তেমন আশঙ্কা নেই। অনলাইনে রচনামূলক প্রশ্ন ছেড়ে দিলে কেউ সাধারণত ১০০তে ১০০ নম্বর পাবে না। এটাও ঠিক যে, যে ফেল করার সে ফেল করবেই, গিলিয়ে দিলেও করবে। প্রশ্ন ছাপানোর বর্তমান প্রক্রিয়া বাস্তবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিলে ব্যয়বহুল এই শ্বেতহস্তী পোষার প্রয়োজন পড়বে না। এটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার যুগোপযোগী কৌশল। তবে প্রশ্ন এমনভাবে করতে হবে, যাতে পরীক্ষার্থীর ঐ প্রশ্নের উত্তর দিতে সম্পূর্ণ বই পড়া থাকতে হবে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন