শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনীতি

হাতপাখার প্রার্থীদের ওপর হামলা হুমকি ধমকি বন্ধ করতে হবে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৩৫ পিএম

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উপর সরকার দলীয় মাস্তানদের হুমকি, ধমকি ও প্রাণনাশের চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, কুমিল্লা বরুড়ার ২নং ভবানীপুর ইউনিয়নে হাতপাখার প্রার্থী মুফতী শরীফুল ইসলাম এবং রায়পুর ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের হাতপাখার প্রধান এজেন্ট ও কর্মীদের উপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, গত শনিবার বিকেলে কেরোয়া ইউনিয়নের জোড়পোল এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মার্কার কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারনা চালানো অবস্থায় আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায় এতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হাফেজ মোঃ আব্দুল আহাদ মামুনসহ কয়েকজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে বরুরা ভবানীপুর ইউনিয়নে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী মুফতী শরীফুল ইসলামকে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। এতে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে স্কুল-কলেজে যেভাবে শিক্ষার্থীরা অটোপাস করেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও অটোপাসের আশায় হাতপাখার প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে, মারধর করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে অটোপাস করতে চায়। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রত্যাখান করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ নৌকায় ভোট দেবে না।
আজ সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সচিব পর্যায়ের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়ক পরিবহনের বিভিন্ন পর্যায়ের চাঁদাবাজি বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জ্বালানি তেল, গ্যাসের সকল শুল্ক ও কর বাদ দিতে হবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ যেসব ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ে সেক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি বাড়াতে হবে। দীর্ঘদিন করোনার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা এমনিতেই দুর্বিসহ। দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের জীবন-জীবিকা হয়ে উঠেছে অসহনীয়। সরকার অমানবিকভাবে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এতে আমাদের কৃষি, কৃষি-পণ্য পরিবহনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। তাই অবিলম্বে তেলের দাম কমাতে হবে, বর্ধিত যানবাহনের ভাড়া এবং নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন