ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার সামরিক অবস্থান নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে রাশিয়া। রুশ সীমান্তের কাছে পশ্চিমাদের সামরিক উপস্থিতি সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন।
গত শনিবার ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন যে, ইউক্রেনীয় সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ এবং ‘আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে যে বাগাড়ম্বরগুলো শুনেছি ও এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও যা দেখেছি’, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং ইউরোপের ‘প্রকৃত উদ্বেগ’ রয়েছে। তার এই বক্তব্যের প্রতি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে সমর্থন জানানো হয়। এর জবাবে মস্কো পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাতে চায় এই অজুহাত তুলে রুশ সীমান্তের কাছে পশ্চিমাদের সামরিক উপস্থিতি সহ্য করবে না মস্কো।
রুশ প্রেসিডেন্টের আবাসিক দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রোববার মস্কোয় এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, কৃত্রিমভাবে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। এমন কেউ আমাদেরকে অস্বাভাবিক সামরিক তৎপরতা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করছে যারা এসেছে মহাসাগরের ওপার থেকে। আর সে দেশটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে তিনি ‘অযৌক্তিক ও অশিষ্ট’ বলে বর্ণনা করেন। এ ধরনের উসকানির পরিণতি মারাত্মক খারাপ হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন পেসকভ।
গত দু’সপ্তাহ ধরে কিয়েভ এই অভিযোগ করে আসছিল যে, দেশটির ওপর সামরিক আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান শনিবার অভিযোগ করেন যে, রাশিয়া তাদের সীমান্তের কাছে ৯২ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পেসকভ বলেন, মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে, এই ভয় দেখিয়ে পশ্চিোরা ‘কৃত্রিমভাবে’ উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
রাশিয়া বলছে, নিজ ভূখণ্ডে সৈন্য স্থানান্তর অধিকার তাদের রয়েছে। পাশাপাশি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ রাশিয়ার সাথে সংযুক্তিকরণ এবং অন্যান্য বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করার সময় যাতে মস্কোর ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করা না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত বলে পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়েছে তারা। সূত্র: রেডিও ফ্রি ইউরোপ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন