বিছানায় পোকার কামড় কে না খেয়েছে? ছারপোকার চেয়ে ক্ষুদ্র পোকা ‘মাইট’ সবচেয়ে ভালোবাসে মানুষের সাথে বসবাস করতে, যা ছোট-বড় সকলের স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করতে পারে। মাইটকে তাড়ানোর উপায় জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেশি গরম নয়, আবার তেমন ঠান্ডাও নয় – এমন আবহওয়াতেই মাইট নামের ছোট্ট এই পোকাটি নরম বিছানায় মানুষের সাথে বসবাস করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। তাছাড়া এরা পছন্দ করে সোফা এবং ঘরের কার্পেটে থাকতে। এমনকি কাপড়ে তৈরি বাচ্চাদের খেলনা বা টেডি বেয়ারের ভেতরেও আরাম করে বসে থাকে এরা।
সপ্তাহে অন্তত দু’দিন বিছানার লেপ তোষক, বালিশ, চাদর – সব কিছু রোদে দিন। এছাড়া ঘরের মধ্যে ঢুকতে দিন যথেষ্ট আলো বাতাস। সম্ভব হলে তোষক বা ম্যাট্রেসেরও একটি ঢাকনা লাগানো যেতে পারে। ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ ঘরে মুক্ত বাতাস আনার জন্য জানালা-দরজা খুলে দিন। দাম একটু বেশি হলেও ‘অ্যান্টি অ্যালার্জি’ বিছানা পাওয়া যায়। তবে পোকা মুক্ত বিছানা রাখতে বাড়তি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিশেষ জরুরি।
কার্পেটের ভেতর বসবাস করতেও বেশ ভালোবাসে অদৃশ্য এই ‘মাইট’ পোকা। যাদের এই পোকায় অ্যালার্জি আছে, তাদের বাড়িতে বেশি কার্পেট রাখা উচিত নয়। এছাড়া যতটুকু কার্পেট থাকে, সেটুকু খুব ভালো করে পরিষ্কার রাখা উচিত। মাঝে মাঝে কার্পেটও শ্যাম্পু করা যেতে পারে, বিশেষ করে বাড়ির ছোট শিশুরা কার্পেটে বসে খেলাধুলা করে বলে। অনেকেরক্ষেত্রে এই মাইট পোকাই আসলে অ্যালার্জির কারণ।
ছোট শিশুরা নরম তুলতুলে কাপড়ের তৈরি খেলনা বা টেডি বেয়ার দিয়ে সারাদিন খেলে। এমনকি কেউ কেউ তো খেলনাগুলোকে সাথে নিয়ে ঘুমায় পর্যন্ত। এই খেলনার গায়ে আটকে থাকতে খুব ভালো বাসে এই পোকা। অথচ খেলনার গায়ের ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই ছাড়াতে পারে শিশুদেরও গায়ে। তাই মাঝে মাঝে খেলনাগুলো ধোওয়া উচিত। তাছাড়া কিছু দিন পরপর ওগুলোকে ঘণ্টা দু’য়েক ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে জীবাণু মরে যায়।
এই অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে অনেকে ‘অ্যান্টি অ্যালার্জি’ বিছানার সরঞ্জাম কেনেন। এটা ঋতু জনিত অ্যালার্জি। অনেকের ভোরে বিছানায় থাকা অবস্থাতেই নাক দিয়ে পানি ঝড়ে, কাশি, হাঁচি হয়। অনেকের আবার সারা বছরই এমনটা হয়। তাই অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা প্রয়োজন, কারণ এই অ্যালার্জি পরে অ্যাজমা রোগের রূপ নিতে পারে। এ কথা জানান জার্মানির এরলাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ভেরা মালার।
ঘরের সোফা বা মোটা পর্দায়ও ঘাপটি মেরে বসে থাকে মাইট পোকা। সোফায় বসে তারা অনেকটা সময় কাটায় মানুষের মতো। এই ক্ষুদ্র পোকাকে খালি চোখে ঠিকমতো দেখা যায় না বলে অনেকে জানেই না যে ‘মাইট’ পোকাই তাদের অসুস্থতার কারণ। তাই নিয়মিত সব কিছু পরিষ্কার রাখুন। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন